আগমী বছরের মাঝামাঝিতে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী
শরীফ শাওন : চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের আশা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও সুযোগ নেই। আমরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করছি তাতে প্রশ্নফাঁসের সুযোগ থাকছে না। এজন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একমাত্র পরীক্ষার হলে যাওয়ার পর প্রশ্নপত্র পাওয়া যাবে জানিয়ে বলেন, এর পর বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে কেউ তা ফাঁসের চেষ্টা করলেও তাতে কোন লাভ হবে না। তবে এমন পর্যায়ে কেউ চলে গেলে বা এসকল কর্মকা-ে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর লক্ষীবাজরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকে পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা বা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। এসকল কর্মকা-ে জড়িত হলে সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
হল পরিদর্শন শেষে দীপু মনি জানান পরীক্ষার হলে দেখেছি সকলেই স্বাস্থবিধি মানছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাইরে অপেক্ষমান অভিভাবকদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। গেটের বাইরে যারা দাঁড়িয়ে আছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো একেবারে কঠিন হয়ে পড়ে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা মাস্ক পরুন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন অন্তত এটা তো আমরা আশা করতেই পারি। আপনি আক্রান্ত হলে আপনার সন্তানরাও আক্রান্ত হবেন। তিনি বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তা থেকে মুক্ত থাকতে শুধু পরীক্ষার্থী নয়, সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
দীপু মনি নিশ্চিত করে বলেন, ২৩ নভেম্বর এইচএসসির পরীক্ষা হবে। ওইদিনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পেছানোর লক্ষ্যে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। তারা নির্বাচন পিছিয়েছে। এছাড়াও পরীক্ষার শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ফলাফল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পরবর্তী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে দীপু মনি বলেন, করোনার কারণে এবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর এমনটা হবে না। আমরা যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছে আশা করছি আগামীবার আরও আগে পরীক্ষা নিতে পারবো। বছরের প্রথমভাগে না হলেও মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আমরা আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণির ক্লাস বাড়াতে চেয়েছিলাম। তবে বর্তমানে ওমিক্রণের কারণে ক্লাস না বাড়ানোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে করোনা বিষয়ক টেকনিক্যাল কিমিটি। ফলে এখনও ক্লাস বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস শুরুর বিষয়েও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তখন টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের সন্তানদের সুরক্ষ, তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।
নতুন এমপিওভূক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে তাদের সবাইকে যোগ্যতা অনুযায়ী এমপিও করা হবে। বাজেট কম থাকায় হয়তো প্রতিষ্ঠানগুলো কম সুযোগ-সুবিধা পাবে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানকে বঞ্চিত করা হবে না, সবাইকে এমপিওভুক্ত করা হবে।