ভাড়া বৃদ্ধির নামে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
অর্থনীতি ডেস্ক : গণপরিবহনে বেআইনি, অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি, ভাড়া বৃদ্ধির নামে দেশের সাধারণ নাগরিকদের হেনস্থা ও হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু তালেব এ নোটিশ পাঠান। সড়ক পরিবহন সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে ঢাকাসহ সারাদেশে যেসব গণপরিবহন পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসে চলে তা নির্ধারণ করে প্রতিটি গণপরিবহনে বিআরটিএর লোগোসহ পরিবহনের সামনে ও পিছনে নেমপ্লেট আকারে সাঁটাতে হবে, যাতে যাত্রীরা বুঝতে পারেন যে, কোন পরিবহনটি গ্যাসে চালিত, আর কোনটি পেট্রোল কিংবা ডিজেলে চালিত। এতে তাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কমে যাবে।
ঢাকা শহরসহ দেশের সব রুটের স্টপেজ টু স্টপেজের কোথার ভাড়া কত, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সব পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের ভাড়া চার্ট টানানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। সুনির্দিষ্ট স্টপেজে সাইনবোর্ড কিংবা ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডে সে
গুলো লিখে ডিসপ্লে করতে হবে- যাতে যাত্রীরা ভাড়া সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে অবগত হতে পারেন।
ভাড়া নির্ধারণের আইনি ভিত্তি কী- এটি কি মালিকদের দাবির মুখে অনুমোদন দেওয়া হয়, না কিলোমিটারপ্রতি বাস ও লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণে সংসদ প্রণীত আইনের অধীনে কখন ও কত বছর পর ভাড়া বাড়ানো হবে এ মর্মে কোন বিধি রয়েছে- তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের বাস ও লঞ্চ ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে। সারাদেশে কতগুলো বাস ও লঞ্চ তথা গণপরিবহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে ও কতগুলোর নেই- তা দ্রুত জানাতে হবে এবং কত সংখ্যক ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে তাও জানাতে হবে।
‘ওয়ে-বিল’ মানুষ ঠকানোর একটি হাতিয়ার মাত্র। এটার কথিত প্রয়োগ যথাশিগগির বন্ধ ও বাতিল করতে হবে। আনুষঙ্গিক অন্য সব কাজ যা যাত্রীকল্যাণে করা দরকার, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
নোটিশে বলা হয়, উক্ত কাজগুলো করা আপনাদের (যাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে) আইনি দায়িত্ব ও কর্তব্য। এগুলো না করতে পারার ব্যর্থতার দায় ও দায়িত্বও আপনাদের। নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে। সূত্র : বাসস, ঢাকাপোস্ট