যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান কমলেও বেকারত্বের হার হ্রাসের দাবি বাইডেনের
রাশিদ রিয়াজ : গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে কাজে যোগ দিয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষ। তবে গত বছর ডিসেম্বরের পর থেকে মাসিক ভিত্তিতে এটি সবচেয়ে কম কাজে যোগদানের সংখ্যা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কর্মসংস্থান হলেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন তা মানতে নারাজ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমমন্ত্রী বলছেন নভেম্বরে যে সংখ্যক মানুষ কাজে যোগ দিয়েছে তা মোটেও হতাশ হবার মত নয়। এবছরে দেশটিতে সবচেয়ে কম মানুষ কাজে যোগ দিয়েছে গত নভেম্বরে। সিএনএন/ফক্স
গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান হয়েছিল ৫ লাখ ৪৬ হাজার মানুষের। সে অনুপাতে গত নভেম্বরে অর্থনীতিবিদরা আশা করেছিলেন সাড়ে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান কম হয়েছে। ওমিক্রন আতঙ্কে কর্মসংস্থান কম হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। একই সঙ্গে বেকারত্বের হার ৪.৬ থেকে ৪.২ শতাংশে নেমে গেছে কারণ ১.১ মিলিয়নেরও বেশি মার্কিন নাগরিক গত মাসে চাকরি খুঁজে পেয়েছে। শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার একই মাসে বেড়েছে ৬১.৮ শতাংশ যা গত বছরের মার্চের পর সর্বোচ্চ স্তর।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সিইও’দের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এরপর বাইডেন বলেন সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শক্তিশালী হয়ে উঠছে। মার্কিনীরা কাজে ফিরছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুটি জরিপ পর্যবেক্ষণ করছে অর্থনীতিবিদরা। শীর্ষ এক অর্থনীতিবিদ জো ব্রসুয়েলাস বলেন আগামী ২/৩ মাসে শ্রম বাজার আরো চাঙ্গা হয়ে উঠবে এবং মজুরি বৃদ্ধি পাবে। গত গ্রীষ্মে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ধাক্কায় মার্কিন শ্রমবাজার যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।
কোভিড সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩.৯ মিলিয়ন কর্মসংস্থান কম হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অভিমত হচ্ছে আগামী নববর্ষ উজ্জ্বল ও সুখী হয়েই উঠবে। তবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে এখনো বেশ চিন্তিত বাইডেন। বিশেষ করে গত ৩১ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা পণ্যের দাম এখন সবচেয়ে বেশি। তা গ্যাসোলিন হোক আর মুদি পণ্যই হোক। তারপরও বাইডেন আশাবাদী যে মার্কিনীরা ভাল করছে। গত বছরের চেয়ে মার্কিন পরিবারগুলোর আয় বেড়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থান হতে আগামী বছর লেগে যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা আভাস দিয়েছেন। এবছর ৬ মিলিয়নের বেশি মার্কিনী কাজে ফিরেছে। ইকোনোমিক পলিসি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এলিজি গোউল্ড এমন আভাস দেন।