সোহেল রহমান : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্যানডোরা পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের সম্পর্কে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্ট ডিভিশনে তথ্য জমা দিয়েছে। এখন বিষয়টি হাইকোর্টের এখতিয়ারে আছে। মামলাটি চলমান আছে। আমি মনে করি, এ সময়ে বিষয়টি নিয়ে আমার মতামত দেয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। যেহেতু বিষয়টি একটি মামলার আওতায় চলে গেছে এবং এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আমার মতামত না দেয়া উত্তম।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমে নতুন করে আরও কয়েকজনের নাম প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলো পত্রিকায় যেভাবে আসছে, সেগুলো আরও অনুসন্ধান করে দুদক যদি মনে করে যে, হাইকোর্টে যাওয়া দরকার বিচার শুরু করার জন্য Ñসে কাজটি তারা করে যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, আমি মতামত দিলে তাদের কাজে লাগবে না। তাই আমি মতামত দেবো না। আপনারা অপেক্ষা করুন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, তবে আমরা আপনাদের সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু আপডেট তথ্য দিতে পারবো। মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডিটেইলসে আপডেট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
প্রথমে ৪৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় আসে। সে তালিকা হাইকোর্টে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যা আসবে, সেটাও দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে। আমি বিশ্বাস করি, ন্যায় বিচার পাবো। আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেবো।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক খাতের অর্জন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ৫০ বছরের অর্জন নিয়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতিবিদসহ সবাই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। সামষ্টিক অর্থনীতির সর্বক্ষেত্রে ও সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ ভালো কাজ করেছি Ñএমন দাবি করে তিনি বলেন, অর্থনীতির সঙ্গে সামাজিক অর্থনীতির যে ইনডেক্সগুলো আছে, সেগুলোও অনেক ভালো আছে। আজকে সেন্টাল ইকোনমিক বিজনেস রিসার্স যুক্তরাজ্য থেকে যেটা পাবলিশ করে, সেখানে সর্বশেষ প্রতিবেদনে তারা বলেছেন, ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্থনীতির এলাকায় আমরা ২৫তম স্থানে উঠতে পারবো। ২০৪১ সালের যে স্বপ্ন বিশ্বের শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে আমরা একটি হবো।