অর্থ মন্ত্রণালয় বৈঠকের দিনে ডিএসইর সূচক ছাড়াল সাত হাজার পয়েন্ট
মাসুদ মিয়া : দেশের শেয়ারবাজার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠক থেকে শেয়ারবাজার জন্য সুসংবাদ আসছে- এমন খবরে চাঙা হয়ে উঠে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর সূচক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছে লেনদেনের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২০৪ পয়েন্ট। সূচক, লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর ফলে টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে শেয়ারবাজাওে সূচক উত্থান হলো।
এদিন লেনদেন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শেয়ারবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে বৈঠকে বসে অর্থ মন্ত্রণালয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং শেয়ারবাজার কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি কমিটির আহ্বায়ক মফিজ উদ্দীন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বহুল প্রতীক্ষিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মতবিরোধের মধ্যে এই বৈঠকের সংবাদে গত কয়েক দিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে শেয়ারবাজার। আর মঙ্গলবার বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই শেয়ারবাজরে সূচকের বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে যখন বৈঠক শুরু হয় সে সময় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৭৩ পয়েন্ট। এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও বৈঠক শেষ হওয়ার পর পরই আবার সূচক বাড়ার পালে হাওয়া বয়। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭০ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার ৪৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবসের উত্থানে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়লো ৩৪৭ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৬৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৩১ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৮৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এ হিসেবে এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪৪৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়ান ব্যাংকের ১০০ কোটি ১১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিএসপি ফাইন্যান্স। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- পাওয়ার গ্রিড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাকটিভ ফাইন, আইএফআইসি ব্যাংক এবং জিপিএইচ ইস্পাত। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২০৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬১টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বৈঠকের দিনে ডিএসইর সূচক
ছাড়াল সাত হাজার পয়েন্ট
মাসুদ মিয়া : দেশের শেয়ারবাজার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠক থেকে শেয়ারবাজার জন্য সুসংবাদ আসছে- এমন খবরে চাঙা হয়ে উঠে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর সূচক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছে লেনদেনের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২০৪ পয়েন্ট। সূচক, লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর ফলে টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে শেয়ারবাজাওে সূচক উত্থান হলো।
এদিন লেনদেন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শেয়ারবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে বৈঠকে বসে অর্থ মন্ত্রণালয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং শেয়ারবাজার কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি কমিটির আহ্বায়ক মফিজ উদ্দীন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বহুল প্রতীক্ষিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মতবিরোধের মধ্যে এই বৈঠকের সংবাদে গত কয়েক দিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে শেয়ারবাজার। আর মঙ্গলবার বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই শেয়ারবাজরে সূচকের বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে যখন বৈঠক শুরু হয় সে সময় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৭৩ পয়েন্ট। এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও বৈঠক শেষ হওয়ার পর পরই আবার সূচক বাড়ার পালে হাওয়া বয়। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭০ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার ৪৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবসের উত্থানে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়লো ৩৪৭ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৬৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৩১ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৮৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এ হিসেবে এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪৪৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়ান ব্যাংকের ১০০ কোটি ১১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিএসপি ফাইন্যান্স। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- পাওয়ার গ্রিড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাকটিভ ফাইন, আইএফআইসি ব্যাংক এবং জিপিএইচ ইস্পাত। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২০৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬১টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।