সোহেল রহমান : হাওড় এলাকায় উড়াল সড়ক নির্মাণ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িতব্য প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)-তে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নেই। তবে প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণে পরিকল্পনামন্ত্রীর সম্মতি রয়েছে। প্রকল্পের আওতাধীন এলাকার মধ্যে রয়েছে- সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলা। হাওর সহিষ্ণু অবকাঠামো উন্নয়ন-পূর্বক হাওর অঞ্চলে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন এবং উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতা প্রদান করা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
প্রকল্পের আওতায় যেসব কাজ করা হবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑ ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার অল সিজন উপজেলা সড়ক নির্মাণ এবং ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন; ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার সাব-মার্জিবল উপজেলা সড়ক নির্মাণ, ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সাব-মার্জিবল ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক নির্মাণ ও ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক উন্নয়ন এবং ৫৭টি ব্রিজ ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ (মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৬৮৮ মিটার)।
পরিকল্পনা কমিশন-এর মতে, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গ্রামীণ/ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, গ্রোথ সেন্টার ও বাজার উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বছর মালামাল পরিবহন, উৎপাদিত কৃষি পণ্য, মৎস্য সম্পদ ইত্যাদি দ্রুত ও সুলভে পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল হবে। এছাড়াও প্রকল্পটি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে বিশেষ অবদান রাখবে।