৯ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অবপলোপনকৃত ঋণ আদায়ের হার ৯ শতাংশ
সোহেল রহমান : চলতি পঞ্জিকা বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংক অবলোপনকৃত মন্দ ঋণ থেকে মোট ১৫১ কোটি টাকা আদায় করেছে। এটি ব্যাংকগুলোর বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি বছরে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে ব্যাংকগুলোর মোট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি পঞ্জিকা বছরে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে সোনালী ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬৯৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে গত ৯ মাসে আদায় হয়েছে ৮১ কোটি টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
চলতি পঞ্জিকা বছরে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে অগ্রণী ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৫৫৪ কোটি টাকা। এর বিপরীতে গত ৯ মাসে আদায় হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ।
চলতি পঞ্জিকা বছরে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে জনতা ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩৫২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে গত ৯ মাসে আদায় হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ।
চলতি পঞ্জিকা বছরে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে রূপালী ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে গত ৯ মাসে আদায় হয়েছে মাত্র ৪ কোটি টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
চলতি পঞ্জিকা বছরে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে বেসিক ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে গত ৯ মাসে আদায় হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে বিডিবিএল-এর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে গত জুন শেষে ব্যাংকটির আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮০ শতাংশ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের হিসাব মতে, গত ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে অর্থাৎ গত জুন শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অবলোপনকৃত মন্দ ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের স্থিতি হচ্ছে ৬ হাজার ৯১২ কোটি ২০ লাখ টাকা; অগ্রণী ব্যাংকের স্থিতি ৪ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা; জনতা ব্যাংকের স্থিতি ৩ হাজার ৪৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা; বিডিবিএল-এর স্থিতি ১ হাজার ৫৪০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা; রূপালী ব্যাংকের স্থিতি ৫৯৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের স্থিতি ৪৪৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।