সোহেল রহমান : টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বরেন্দ্র এলাকায় সেচ অবকাঠামো পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ‘বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ (বিএমডিএ)। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩২৩ কোটি টাকা।
জানা যায়, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার ১২০টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্যের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, ৬ হাজার ৬৫৪টি পুরাতন সেচ অবকাঠামো (গভীর নলকূপ-১ হাজার ৩৫৮টি, পাম্প হাউজ-৫ হাজার ২৯৬টি) পুনর্বাসনের মাধ্যমে ৪০ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রেখে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ৩ দশমিক ২৬ লাখ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন; সেচনালা মেরামত/সংস্কারের মাধ্যমে সেচের পানি অপচয় রোধ এবং প্রকল্প এলাকায় জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন Ñএ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপি-তে বরাদ্দহীনভাবে সংযুক্ত অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেÑ ১ হাজার ৩৫৮টি গভীর নলকূপ পুনর্বাসন ও বিদ্যুৎ সংযোগ; ২ হাজার ৩০৯টি ব্যবহার অযোগ্য পাম্প হাউজ পুনঃনির্মাণ এবং ২ হাজার ৯৮৭টি পাম্প হাউজ মেরামত ইত্যাদি। পরিকল্পনা কমিশন-এর মতে, প্রকল্পটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চলমান ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কৃষি খাতের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, এর সঙ্গে প্রকল্পটি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বরেন্দ্র এলাকায় সেচ কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ধরে রাখাসহ দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।