অর্থনীতি ডেস্ক : প্রাকৃতিক নৈসর্গে ঘেরা রাঙামাটি এখন পর্যটকে মুখরিত। তিন দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে। করোনা মহামারির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে হেমন্তের শুরুতে পার্বত্য জনপদ পর্যটকের পদচারণার আবারও মুখর হয়ে উঠেছে। সবগুলো হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে আগেই। পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত ট্যুরিস্ট পুলিশ।
হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙামাটি। ইট-পাথরের শহরের যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাহাড় আর হ্রদঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে এসেছেন রাঙামাটিতে। প্রতিদিন পর্যটকের আগমন ঘটলেও টানা ছুটিতে এই সংখ্যা বেড়ে যায় বহুগুণ। ফলে প্রাণ ফিরেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও।
যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝর্ণা, সাজেক ভ্যালি, পলওয়েল পার্ক ও হ্রদ ভ্রমণে পর্যটকদের পছন্দ বেশি। দীর্ঘ লকডাউনের পর প্রকৃতির মাঝে ফিরতে পেরে তারা জানালেন সন্তুষ্টির কথা। স্থানীয় সূত্র জানায়, এরই মধ্যে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটেছে রাঙামাটিতে। পর্যটকদের বরণ করে নিয়েছেন হোটেল, মোটেল ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে পর্যটকদের জন্য প্রচুর বোট প্রস্তুত রাখার কথা জানান বোট ঘাটের ইজারাদার। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে সমাগম ঘটে পাঁচ লাখেরও বেশি পর্যটকের। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নওরিন খানম ও সুমাইয়া আক্তার বলেন, অন্যান্য পর্যটন স্পটের তুলনায় রাঙামাটি অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আমরা আরও কয়েকবার এসেছি রাঙামাটি।
এখানকার প্রকৃতি, কাপ্তাই হ্রদ এক অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করে। অন্যান্য পর্যটন স্পটে মানুষ বেশি থাকায় নিরিবিলি বসে সময় কাটানো যায় না। রাঙামাটি সেই কারণে সময় কাটানোর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।
হোটেল স্কোয়ার পার্কের মালিক মো. নেয়াজ উদ্দিন বলেন, মৌসুম শুরু হওয়ার পর পর্যটকরা রাঙামাটি আসতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে সপ্তাহিক ছুটির দিন সেই সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। বিজয় দিবস ও দুই দিনের সরকারি ছুটি থাকায় লাখো পর্যটক রাঙামাটি বেড়াতে এসেছেন। শুধু আমার হোটেল নয়, জেলার সব হোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘদিন করোনা মহামারির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও পর্যটক এসেছেন রাঙামাটিতে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে দীর্ঘদিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। সবগুলো হোটেল মোটেল পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা পর্যটকদের বরণ করে নিয়েছি।
রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল বলেন, রাঙমাটির প্রতিটি পর্যটন স্পটে নিরাপদে পর্যটকরা যেন ঘুরে বেড়াতে পারেন তার সব প্রস্তুতি ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নিরাপদে হোটেল মোটেলে উঠেছেন পর্যটকরা।