সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতন
মাসুদ মিয়া : দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন পিছু ছাড়ছে না। প্রায় প্রতিদিনই দরপতন হচ্ছে। এতে করে একটু একটু করে বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে দুই কার্যদিবস ধরে শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আর চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২৬১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে পতন হয়েছে সবকটি মূল্যসূচকের।
এদিন দিনের লেনদেন শেষে সূচকের বড় পতন হলেও শুরুর চিত্র ছিল ভিন্ন। লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে লেনদেনের ৮ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু বেলা ১১টার পর থেকে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে সবকটি সূচকের পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৩৭৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮২টির, কমেছে ২৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানীর শেয়ার।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭২ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৬৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩২ কোটি ৬০ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মা।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:-ফরচুন সুজ, বেক্সিমকো লিঃ,বীকন ফার্মা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ওয়ান ব্যাংক, সোনালী পেপার, জেনেক্স ইনফোসিস, সাইফ পাওয়ার, সেনা কল্যান ইন্স্যুরেন্স, জিএসপি ফাইন্যান্স।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:-ঢাকা ডাইং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়া প্যাসিফিক জেঃ ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ ংঃধৎঃ: }থএড়ইধপশ[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ বহফ: }থএড়ইধপশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেঃ ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেঃ ইন্স্যুরেন্স ও কর্ণফূলী ইন্স্যুরেন্স।
অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:-খান ব্রাদাস্র্ পিপি, অ্যাপেক্স ফুটওয়ার, এম আই সিমেন্ট, তমিজুদ্দীন টেক্সটাইল, প্রিমিয়ার লিজিং, ন্যাশনাল টি, লিব্রা ইনফিউশন, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, বীচ হ্যাচারী ও দেশ গার্মেন্টস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৭টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।