নিজস্ব প্রতিবেদক : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বার্ষিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রাণ যায় ৩ হাজারের অধিক মানুষের। চলতি বছর নদীপথে এ পর্যন্ত প্রায় দুশোটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত এপ্রিলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মারা যান সাবিত আল হাসান লঞ্চের ৩৪ যাত্রী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ আগুন লাগার ঘটনায় ইতোমধ্যে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজন দগ্ধরোগী ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন শত শত প্রাণহানি ঘটলেও দুর্ঘটনা রোধে নেওয়া হয় না কোনো কার্যকর ব্যবস্থা। লঞ্চ ছাড়ার আগে ইঞ্জিন রুম, ফুয়েল কন্ট্রোল প্যানেল, নেভিগেশন সিস্টেমসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয় না অধিকাংশ লঞ্চে। লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে শত শত লিটার তেল থাকায় শুধু পানি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তারা।
বুয়েটের লেকচারার মো. ইমরান উদ্দিন লঞ্চের নাবিক ও মাস্টারদের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাদের প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বাস্তবে লঞ্চ ছাড়ার আগে এসব কিছুই পরীক্ষা করে দেখা হয় না।
প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চলাচল করে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের নদী পথের বিভিন্ন রুটে। দীর্ঘদিন ধরে নকশায় ত্রুটি, অদক্ষ ইঞ্জিন অপারেটর, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহনসহ নানা অভিযোগ নৌ-পরিবহনে।