নতুন বছরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে নজর দেবে উত্তর কোরিয়া
ইমরুল শাহেদ: পরমাণু চর্চা এবং যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে সারাক্ষণ মশগুল থাকা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন নতুন বছরে মত পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। এ বছর তিনি নজর দেবেন দেশটির উন্নয়নের দিকে। শনিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় সরকারের ইচ্ছা সম্পর্কে বলা হয়েছে, নেতা কিম জন উন নতুন বছরে পরমাণু চর্চা বা যুক্তরাষ্ট্রের বিষয় বাদ দিয়ে কল-কারখানাকে গতিশীল এবং স্কুল ইউনিফর্মের দিকে নজর দেবেন। স্কুল ইউনিফর্মের কথা বলা হচ্ছে এজন্য যে, তিনি একটি বক্তৃতায় উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে স্কুল ইউনিফর্মের কথাও বলেছেন। কিম শুক্রবার ‘ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া’র অষ্টম সেন্ট্রাল কমিটির চতুর্থ প্রিলিমিনারি মিটিংয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে তারই ইঙ্গিত রয়েছে।
কিম বলেছেন, ২০২২ সালে উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। মানুষের জীবন মান উন্নয়ন করতে হবে, যা এখন ‘জীনব-মৃত্যুর’ মুখোমুখি। কিম বলেছেন, ‘উন্নয়নের গেল দশকে যেসব মৌলিক সমস্যা দেখা দিয়েছে আগামী পাঁচ বছরে সেগুলো অপসারিত করে জনগণকে নিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যেতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে ও জনগণের জীবন মানে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে’। এই বৈঠকটি যখন অনুষ্ঠিত হয় তখন দেশটি উন্নয়নের ১০ বছর পার করছিল। কিম সাধারণত নতুন বছরকে নতুন ঘোষণার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কিমের বক্তব্যের পুরোটাই জাতীয় পর্যায়ের বিষয়গুলো নিয়ে ছিল। তিনি গ্রাম পর্যায়ের খাদ্য সংকট নিয়ে উচ্চাকাংখা প্রকাশ করেছেন।
স্কুল ইউনিফর্ম এবং অ-সমাজতান্ত্রিক চর্চার কথাও ছিল তার বক্তব্যে। ২০১১ সালে পিতার মৃত্যুর পর থেকেই তিনি দেশটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয়ভাবে এবং উৎপাদনের সব ক্ষেত্রই সরকারের হাতে। বরাবরই সরকার অর্থনীতির উন্নয়নকে গুরুত্ব ও প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। ১৯৫৪ সাল থেকেই অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ হয়ে থাকে সরকারের কিছু পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে। শুরুতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যুদ্ধোত্তর দেশকে পুনর্গঠনে। একইসঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাসায়নিক ও ধাতব কারখানাকে। পরে সম্পদ আহরণ ও প্রযুক্তির দিকে নজর দেওয়া হয়। সূত্র: ইয়ন, ব্রিটানিকা