দেশে গত এক দশকে বিলাসবহুল গাড়ি বেড়েছে ৩৯ শতাংশ
ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ : গত এগারো বছরে বিলাসবহুল গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৪৩ হাজার ৭২০টি। শুধু ২০২১ সালেই রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৬ হাজার ৯১৫টি গাড়ি। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিলাসবহুল গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা। অবশ্য ২০২০ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিলো ৪ হাজার ৯১১টি গাড়ি। ২০১১ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এই ধরণের গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৩৪ শতাংশ। একই সময়ে সেডান গাড়ি ক্রয় বেড়েছে ১৪৫ শতাংশ। এর বার্ষিক গড় বিক্রি দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশ। ডেইলি স্টার
এদিকে নিউইয়র্ক ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ওয়েলথ এক্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অতি-ধনী মানুষের সংখ্যায় দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। একই সময়ে দেশে অতি উচ্চমাত্রার ধনীদের সংখ্যা ১৭.৩ শতাংশ বেড়েছে। ওয়েলথ এক্সের তথ্য মতে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের উচ্চ সম্পদ সম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যায় বাংলাদেশের অবস্থান হবে তৃতীয়।
এখন বিএমডব্লিউ, অডি, মার্সিডিজ-বেঞ্জ, লেক্সাস, জাগুয়ার, পোর্শে এবং রেঞ্জ রোভারের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের গাড়ির পাশাপাশি টয়োটা, নিসান ও মিতসুবিশির বিলাসবহুল গাড়ি ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তায় অতি সাধারণ দৃশ্য। এই সব গাড়ির প্রধান গ্রাহক হচ্ছেন ব্যবসায়ী, শীর্ষ কর্মকর্তা ও বহুজাতিক কোম্পানি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সরকার ২ হাজার সিসির বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়িকে বিলাসবহুল গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করে। একটি বিলাসবহুল গাড়ির দাম সর্বনি¤œ ৭০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩.২০ কোটি টাকা পর্যন্ত।
ফ্রান্স বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুল হক দীর্ঘদিন ধরে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ব্যবহার করেন। কারণ স্পোর্ট ইউটিলিটি ভিকেলস (এসইউভিটি) বাংলাদেশের রাস্তার উপযোগী। দেশে প্রচুর বৃষ্টি হয় তাই এই ধরণের উচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন গাড়ি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত।
সম্প্রতি টলেডো মোটরস লিমিটেড ও আনোয়ার গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ যৌথ উদ্যোগে এসইউভির তিনটি মডেল বাজারে এনেছে।
আনোয়ার গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের বিপণন ও যোগাযোগের উপ-ব্যবস্থাপক সৈয়দ রায়হান কাওসার বলেন, মানুষের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গত এক দশকে বাংলাদেশে এসইউভির চাহিদা বেড়েছে।
বাংলাদেশের পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, মালয়েশিয়ায় প্রত্যেক ১ হাজার জনের বিপরীতে গাড়ি রয়েছে ৮শ ৯৭টি। ভিয়েতনামে রয়েছে ৩৪টি। ভারতে রয়েছে ২২টি। পাকিস্তানে ১৬ টি। আর বাংলাদেশের জনগণের জন্য সেই সংখ্যা ৩টি। সম্পাদনা : রাশিদ