নিকারাগুয়ায় পুনরায় দূতাবাস খুললো চীন
অর্থনীতি ডেস্ক : নিকারাগুয়ায় পুনরায় চালু হলো চীনের দূতাবাস। সম্প্রতি বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ হতে তাইপেইয়ের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানা গেলো। খবর আল-জাজিরার।
বেইজিংয়ের সঙ্গে মানাগুয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হওয়ার এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নিকারাগুয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেনিস মনকাদা। বিশ্লেষকরা এটিকে চীনের রাজনৈতিক জয় বলছেন, যেটি তাইওয়ানকে নিজেদের ভূ-খন্ড দাবি করে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ক্রমাগত চাপ বাড়িয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে নিকারাগুয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করার পর আরও এক বন্ধু হারায় তাইওয়ান। ২০১৬ সালের মে মাসে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তাইপেইয়ের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত তাইওয়ানের মিত্রের সংখ্যা ২১ থেকে নেমে ১৪টিতে দাঁড়িয়েছে। নিকারাগুয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেনিস মনকাদা চীনের দূতাবাস চালু উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বলেন, আপনাকে আমাদের নিকারাগুয়ায় স্বাগত জানাই… এই নিশ্চয়তার সঙ্গে যে উভয় দেশের সামনে আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ রয়েছে। এক ভার্চুয়ালি বৈঠকে স্থানীয় সময় (৩১ ডিসেম্বর) চীনের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, বৈইজিং নিকারাগুয়ার সঠিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় এবং এটি প্রশংসনীয়। চীন কয়েক দশক ধরে তাইওয়ানের ক্ষযিষ্ণু কূটনৈতিক মিত্রদের পক্ষ পরিবর্তন করতে উৎসাহিত করেছে, যার মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকার তিনটি দেশ অন্যতম এবং সেগুলো হলো পানামা, এল সালভাদর এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র। গত ৯ ডিসেম্বর নিকারাগুয়ার ওর্তেগা ঘোষণা দেয়, তারা ‘এক চীন’ নীতির সমর্থনে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং সব ধরনের যোগাযোগ বা অফিসিয়াল সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছে। ৭০-এর দশকের শেষ দিকে আমেরিকার সমর্থনপুষ্ট একনায়ক সোমোজা সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় বসেন ডেনিয়েল ওর্তেগা। এক দশক তিনি ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে যান। এরপর তার ক্ষমতায় ফিরতে সময় লাগে ১৬ বছর। ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে ওর্তেগা আবার ক্ষমতায় ফেরেন। পরের বছর দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। দুই যুগ ধরে নিকারাগুয়ার ক্ষমতার আসনে বসে আছেন ডেনিয়েল ওর্তেগা। এবারের নির্বাচনে জয় পেতে বিরোধীদের ওপর চরম দমন–পীড়ন চালাচ্ছেন তিনি এমন অভিযোগ উঠেছে। গত জুন থেকে দেশটিতে ২৪ জনের বেশি বিরোধী রাজনীতিককে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষেকরা বলছেন, ওর্তেগার এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে একটাই উদ্দেশ্য এবং সেটি হচ্ছে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা। জাগো নিউজ, সম্পানা : জেরিন আহমেদ