স্ট্রিট গার্ল থেকে সুপার মডেল রিতা
সালেহ্ বিপ্লব : লুকবান শহরের একটি দরিদ্র পরিবারে রিতার জন্ম। পুরো নাম রিতা গাভিওলা। পরিবারের খরচ জোটাতে রাস্তায় ভিক্ষা করতেন রিতা। কোলে থাকতো ছোট ভাই অথবা বোন। গার্ডিয়ান
লুসিয়ানা শহরের এক ফটোগ্রাফার টপার কুইন্টো বার্গোস। তিনি হঠাৎ করেই রাস্তায় ভিক্ষা করতে থাকা মেয়েটার বেশ কিছু ছবি তোলেন। এরপর শেয়ার করেন নেট দুনিয়ায়। আর এই ছবিতেই ঘটে যায় বিস্ময়কর ঘটনা। ইনকুইরার
রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় রিতার ছবি। প্রথমে তো ভয়ই পেয়েছিলেন রিতা।
তার এলাকার নেটিজেনরা যখন তার ভাইরাল হওয়া ছবিটি দেখালো, রিতা ভেবেছিলো, এবার বুঝি পুলিশ আর তাকে ভিক্ষা করতে দেবে না। কিন্তু ঘটলো সম্পূর্ণ বিপরীত। রেডিট
আয় বন্ধ হওয়া দূরে থাক, হাজার হাজার শুভাকাক্সক্ষী রিতার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তার পরিবারকে দারিদ্রমুক্ত করার লক্ষ্য সবার। স্টারবিজ
ছবিতে রিতাকে এতোটাই মায়াবী ও উজ্জ্বল লাগছিলো, তিনি সেলিব্রিটিদের নজরে পড়েন যান, যাদের মধ্যে ছিলেন ২০১৫ সালের মিস ওয়ার্ল্ড ফিলিপিন্স, ২০১৪ সালের মিস ওয়ার্ল্ড ফিলিপিন্স এবং ২০১৫ সালের মিস আর্থ। তারা রিতার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ওয়ার্ল্ড টুডে
নেট দুনিয়ায় রিতা তার অসামান্য সৌন্দর্য্যরে জন্য এতোটাই বিখ্যাত হয়ে যান যে, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তের ছেলে সেবাস্টিন দুতার্তে তাকে নিয়ে টুইটারে পোস্ট দেন। সেবাস্টিন লিখেন, রিতাকে ফিলিপাইনের ঐতিহ্যবাহী বাদামী সৌন্দর্য্য প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া উচিত। টুইটার
এক ভক্ত ফেসবুকে রিতার জন্য ফেসবুকে ‘বাজাও গার্ল’ নামের একটি পেইজ খোলেন। ভক্তরা রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে লাইক দিতে থাকেন তাকে। ফেসবুক
মাত্র কয়েক বছরে বদলে গেছে রিতার জীবন। এক সময় দিনে একবার খাওয়া জুটতো যে জেলে পরিবারটির, তাদের এখন কোনো কিছুর অভাব নেই। আর রিতাও এগিয়ে চলছেন তরতর করে। ডব্লিউটি
শুধু শারীরিক সৌন্দর্য্য নয়, রিতার মানবিক গুণাবলীও অসাধারণ। এখন তিনি ফিলিপাইনের সুপার মডেলদের একজন। অনেকেই আশা করছেন, মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবেন এক সময়কার ভিখারী রিতা গ্যাভিওলা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব