বিশে^র প্রথম ৩ ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানি হল অ্যাপেল
রাশিদ রিয়াজ : আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপেলের বাজার মূলধন গত সোমবার ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রথম কোনো বেসরকারি কোম্পানি এত বিশাল অর্থের বাজার মূলধন পেল। অ্যাপেলের শেয়ার ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিটি শেয়ার পত্রের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮২.৮৮ ডলার। ২০১৮ সালের আগস্টে অ্যাপেলের বাজার মূলধন প্রথম ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। এরপর ২০২০ সালের আগস্টে অ্যাপেলের মূলধন ২ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। আরটি
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন বছর অ্যাপেলের জন্যে শুভ সূচনা এনে দিয়েছে। বাজার লেনেদেনে বিনিয়োগকারীরা অ্যাপেলে বিনিয়োগে আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসছে। এতে ক্যালিফোর্নিয়ার এ কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যাপেল ২ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হতে প্রতিষ্ঠার পর সময় নিয়েছে ৪৪ বছর আর ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হতে সময় নিয়েছে ১৭ মাস। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে কোম্পানিটির আয় ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করে। প্রথমবার ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হয়ে ওঠার পেছনে অ্যাপেলের কাছে গাড়ি কোম্পানি হার্টজ ১ লাখ ইভিএস ক্রয়ের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। এরপর মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট ও সৌদি আরবের সরকারি তেল-গ্যাস কোম্পানি আরামকো’র সঙ্গে ২ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে নাম লেখায়। গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফ্যাবেট প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ও আরেক মার্কিন কোম্পানি অ্যামাজন ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার মূলধনে পৌঁছে গেছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি টেসলার শেয়ার ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে এ মার্কিন কোম্পানির বাজার মূলধন ১৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। টেসলার বাজার মূলধন ১ ট্রিলিয়ন ডলার হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার। অ্যাপেলের পণ্যগুলোর মধ্যে বাজারে সর্বাধিক চাহিদা হচ্ছে আইফোন ১৩ সিরিজটির। নববর্ষের ছুটিতে এ ফোন সেটটি বিক্রি হয়েছে ৪ কোটি সেট। ওয়েডবুশ সিকিউরিটির বিশ্লেষক ড্যানিয়েল ইভেস আভাস দেন অ্যাপেলের সার্ভিস ব্যবসার পরিমান দাঁড়িয়েছে দেড় ট্রিলিয়ন ডলার। এ মূহূর্তে অ্যাপেল তার সক্ষমতার পেশী শক্তি প্রদর্শন করছে। ওয়ালমার্ট, ডিজনি, নেটফ্লিক্স, নাইকি, এক্সন মোবিল, কোকা-কোলা, কমক্যাস্ট, মর্গান স্টানলি, ম্যাকডোনাল্ডস, এটিএন্ডটি, গোল্ডম্যান স্যাক্স, বোয়িং, আইবিএম ও ফোর্ডের মতো বিখ্যাত কোম্পানির মোট বাজার মূলধনের চেয়ে অ্যাপলের বাজার মূলধন বেশি।