বেড়েছে চাল-ডাল-ডিমের দাম আবারও বাড়লো
মাসুদ মিয়া : রাজধানীতে মুরগির দাম অস্বাভাবিক বাড়ার পর গত কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা। আর পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি দাম কেজিতে কমেছে ৬০ টাকা পর্যন্ত।
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। তবে বাজারে সব ধরনের শীতের সবজি ভরপুর রয়েছে। এর সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। মাছের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা। আর গত সপ্তাহে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালী মুরগির দাম কমে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দামের বিষয়ে রায় সাহেব বাজারের ব্যবসায়ী জাকির বলেন, সরবরাহ থাকায় ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা খালেদ আখতার বলেন . ব্রয়লার ১৮০ টাকা এবং সোনালী ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা কমলেও আরও কমা উচিত। আমি মনে করি ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকার ওপরে হওয়া ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, আসলে বাজারে কোন নজরদারি নেই। যে কারণে যখন যার ইচ্ছা হচ্ছে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই দেখেন ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের দাম আবার লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। অথচ গতকাল বিভিন্ন অনলাইনে দেখলাম ১০ বছরেও দাম নির্ধারণের পদ্ধতিটি রিভিউ করা হয়নি। এতেই বোঝা যায় সবকিছু কেমন খামখেয়ালিভাবে চলছে।
মুরগির দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ফুলকপির পিস বিক্রি করছেন ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বিচি ছাড়া শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বিচি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। একইসঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। গত সপ্তাহের মতো নতুন আলুর কেজি ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তবে গাজরের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগমের (ওল কপি) কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ গুলোর দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী কাজল ব্যাপারী বলেন, শীতের সব ধরনের সবজি এখন বাজারে ভরপুর। তবে গত বছরের মতো এবার সবজির দাম কমার সম্ভাবনা কম। আমাদের ধারণা এখন যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে, সামনে এর থেকে কমার সম্ভাবনা নেই।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।
এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।