বাংলাদেশের চেয়ে বেকার বেশি ভারতে
ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ : ভারতের বেকার যুবকের একজন জিতেন্দ্র মৌর্য। তিনি এসেছিলেন মধ্যপ্রদেশের কেন্দ্রীয় রাজ্যে ১৫টি অল্প দক্ষ সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। তার সঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন স্নাতকোত্তর, প্রকৌশলী ও এমবিএ করা অনেক শিক্ষিত যুবক। দেশটিতে গত সপ্তাহে আইনে স্নাতক করা একজন ড্রাইভার হিসেবে চাকরির আবেদন করেছেন। বিবিসি
জিতেন্দ্র মৌর্য বলেন, পরিস্থিতি এতোটা খারাপ যে মাঝে মাঝে বই কেনার টাকা থাকে না। তাই আমি ভাবছি কোনো একটা কাজ পেয়ে গেলে সেটাই করবো। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির তথ্য অনুসারে, গত ডিসেম্বরে ভারতে বেকারত্বের হার ছিলো প্রায় ৮ শতাংশ। ২০২০ সালে বেকারত্বের এই হার ছিলো ৭ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ তে ভারতে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৭.১১ শতাংশ। গত তিন দশকে এই হার সর্বোচ্চ। আর গত এক দশকে দেশটিতে বেকারত্বের হার প্রতিবেশীদেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলো । টাইমস অফ ইন্ডিয়া
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেন, ১৯৯১ সালে ভারত বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছিলো। তখন ভারতে ডলারের সঙ্কট দেখা দিয়েছিলো। এর পর আর এমন সঙ্কটে পড়তে হয়নি।
কৌশিক বসু আরো বলেন, বেশিরভাগ দেশেই ২০২০ সালে বেকারত্বের হার বেড়েছে। কিন্তু ভারতের বেকারত্বের হার বাংলাদেশের চেয়ে বেড়েছে ৫.৩ শতাংশ। মেক্সিকো থেকে বেড়েছে ৮.৭ শতাংশ। আর ভিয়েতনামের চেয়ে বেড়েছে ২.৩ শতাংশ।
শ্রম অর্থনীতিবিদ রাধিকা কাপুর বলেন, বেকারত্ব একটি বিলাসিতা। এই বিলাসিতা বহন করতে পারে যারা শিক্ষিত ও তুলনামূলকভাবে সচ্ছল। এই বিলাসিতা দরিদ্র ও কম দক্ষ মানুষদের জন্য নয়।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে দেখা গেছে ভারতের কর্মীদের ৪৫ শতাংশের মাসিক বেতন ৯ হাজার ৭৫০ রুপি। ২০১৪ সালে মোদি সবাইকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কিছু কিছু করে প্রণোদনা দিচ্ছেনও বটে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। সম্পাদনা : রাশিদ