অর্থনীতি ডেস্ক : পরিচিত শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে বিদেশে যেতে আগ্রহীদের জন্য নতুন নতুন গন্তব্য খুঁজতে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে তাগিদ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শুক্রবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের মিশনগুলোর দায়িত্ব হবে নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করা এবং সেখানে আমাদের শ্রমশক্তি নিয়োগের ব্যবস্থা করা। এর ফলে একদিকে ওই দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরাসরি ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে আমাদের শ্রমিকেরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
‘আমাদের শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলে বিদেশে নিয়োজিত করতে পারলে আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকাংশ—প্রায় ৮০ ভাগই মধ্যপ্রাচ্যে, কিন্তু আমরা অন্যান্য অঞ্চলেও আমাদের শ্রমশক্তি প্রেরণ করতে চাই।’
বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মন্ত্রী উল্লিখিত কথাগুলো বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাস্তবায়নে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
রোমানিয়াতে কর্মী পাঠানোর বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য দেশেও আমাদের শ্রমশক্তি প্রেরণের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।’
তিনি আফ্রিকা মহাদেশে কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টির জন্য ওইসব দেশের সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
মোমেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি স্থানান্তরেও ভূমিকা রাখতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে এবং মিশনগুলোতে সেবার মান বাড়াতে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার এডমিরাল খুরশেদ আলম, সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাসস