কাশ্মীরি আপেল কুল চাষে সফল তারেক
অর্থনীতি ডেস্ক: বাঁশখালীতে কাশ্মীরি আপেল কুল চাষে সাফল হয়েছেন তারেক। পড়ালেখা শেষে চাকরির আশায় বসে না থেকে শুরু করেন কৃষি কাজ। বাড়ির পাশের ২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন বিদেশি জাতের কাশ্মীরি আপেল কুল, বল সুন্দরী কুল, থাই আপেল কুল চাষ। কুল চাষই যেন বদলে দিয়েছে তারেকের জীবন। তার বাগানজুড়েই লাল-সবুজের সমারহে মিশ্রিত বিদেশির জাতের কুল।
তারেক জানান, ইউটিউবে বিদেশি কুল চাষ দেখে কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠি। পরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাশ্মীরি আপেল কুল, বল সুন্দরী কুল, থাই আপেল কুলের ৪০০ চারা সংগ্রহ করি। এরপর লিজ নেওয়া ২ বিঘা জমিতে ১০ ফুট দূরত্ব রেখে ৪০০ চারা রোপন করি। এখন পর্যন্ত এই বাগানে আমার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক ও কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সঠিক পরিচর্যায় আমার বাগানের প্রতিটি গাছেই প্রচুর পরিমাণে কুল ধরেছে। ১০ মাস আগে লাগানো গাছগুলোতে এ বছর গাছ প্রতি ২৫-৩০ কেজি করে কুল হতে পারে।
দ্বিতীয় বছর থেকে কুলের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে বলে ধারণা করছি। এভাবে টানা ৫-৭ বছর পর্যন্ত ফল বিক্রি করা যাবে। স্থানীয় বাজারে এ কুল পাইকারি ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারদের কুল দিতে হিমসিম খাচ্ছি। সব মিলিয়ে এ বছর তিনি ৫-৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। চাহিদা থাকায় উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে নতুন করে বাগানের পাশের আরও ৮ বিঘা জমি লিজ নিয়ে কুল চাষ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক বলেন, তারেক নিজ উদ্যোগে ২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে কাশ্মীরি আপেল কুল, বল সুন্দরী কুল, থাই আপেল কুল চাষ করে সফল হয়েছেন। তার এই কুল চাষ দেখে অনেকেই কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক তারেককে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার