ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ : সরকারি গবেষণায় বলা হয়েছে তরুণরা চাকরিচ্যুত হওয়ার কারণে শুধু অর্থনীতির উপরই প্রভাব পড়ে না বরং তাদের স্বাস্থের উপর প্রভাব পড়ে। একই সময় কলেজের প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী তাদের নিয়মিত লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে পড়েছে। ১০ লাখ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সময়মত শিক্ষা সম্পন্ন করা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। ডেইলি স্টার
ন্যাশনাল হিউম্যান ডেভলপমেন্ট রিপোর্টে দেখা গেছে, মহামারির কারণে দেশের উন্নয়নের গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
চ্যালেঞ্জ বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। সরকারি গবেষণায় বলা হয়েছে সকল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চাইলে মানব উন্নয়ন বৃদ্ধির কৌশলগত পরিকল্পনা অনুসরণ করতে হবে, লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে হবে, জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দায়িত্বশিলতা বাড়াতে হবে ও সরকারি কর্মসংস্থান পরিকল্পনা প্রচার করতে হবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, মহামারির কারণে নারীদের বেকারত্বের হার পুরুষদের তুলনায় প্রায় তিন গুণ। পুরুষরা বেকার হয়েছেন ১১ শতাংশ আর নারীরা বেকার হয়েছেন ২৯ শতাংশ। কোভিড কিছুটা কমে আসার পর যখন অনেকেই আবার কাজে ফিরেছেন তখন পুরুষদের আয় কমেছে ১০ শতাংশ আর নারীদের আয় কমেছে ২১ শতাংশ।
নেদা সোসাইটির প্রধান জাহানারা বিউটি বলেন, মহামারির সময় নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের নিয়োগ দিয়েছে। অনেক নারী চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের স্থানে নারীকর্মী নিয়োগ না দিয়ে পুরুষদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কারণে নারীদের আয় কমার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয় করা অর্থ ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া নারীরা বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছেন এই মহামারির সময়ই। সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে বাল্যবিবাহ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে সারা বিশ্বে যুব কর্মসংস্থান কমেছে ৮.৭ শতাংশ। আর প্রাপ্তবয়স্কদের কর্মসংস্থান ৩.৭ শতাংশ কমেছে। আইএলও জানায়, মহামারির কারণে তরুণরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদেরকে সঠিক কর্মস্থানের পথ তৈরি করে না দিলে আগামী কয়েক দশকেও তারা এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে না। সম্পাদনা : রাশিদ