ডিজিটালাইজেশনে বিশ্বব্যাংকের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ
অর্থনীতি ডেস্ক : সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া জোরদারে ২৯৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ বিষয়ে রোববার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এতে স্বাক্ষর করেন। প্রস্তাবিত এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পে এই ঋণ দেবে বহুজাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য মেয়াদকাল চলতি মাস থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ডিজিটাল অর্থনীতির সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং দেশীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্পের প্রসার ঘটাতে প্রকল্পটি নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
একইসঙ্গে পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। এছাড়া সরকারের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি স্থাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ বাড়ানো হবে। এই ঋণের নমনীয়তা, ঝুঁকি হ্রাস এবং বৈদেশিক ঋণের মুদ্রাভিত্তিক পোর্টফোলিও সমতাকরণে ইউরো মুদ্রায় দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। এর সঙ্গে ফ্রন্ট এন্ড ফি হবে দশমিক ২৫ শতাংশ। অনুত্তোলিত ঋণের ওপরও দশমিক ২৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের আইডিএ স্কেলআপ ফ্যাসিলিটির (এসএউএফ) শর্তানুসারে ৪ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৪ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। স্যূত্র : নিউজবাংলা, বাংলাট্রিবিউন। গ্রন্থনা : শোভন দত্ত