অর্থনীতি ডেস্ক : ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১১৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। লজ্জার হার হারলেও প্রথমবারের মতো কিউইদের দেশ থেকে সিরিজ ড্র করেছে টাইগাররা। যা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক অর্জন।
সিরিজের শেষ টেস্টে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৫২১ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ দুই ইনিংসে অল আউট হয়েছে যথাক্রমে ১২৬ ও ২৭৮ রানে।
নিউজিল্যান্ডে ভালো কিছু করার লক্ষ্য নিয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। অতীত ইতিহাস ও নিজেদের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় সিরিজ শুরুর আগে টাইগাররা লড়াই করতে পারলে সেটাই হতো বড় স্বস্তির বিষয়। তবে এর চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে মুমিনুল হকের দল।
সিরিজের প্রথম টেস্টে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়ে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। যার ফলে দীর্ঘ ২১ বছর ও ৩২ ম্যাচ পর সেই দেশে প্রথম জয় পায় টাইগাররা। যদিও পরের টেস্টে হতাশার পারফরম্যান্স উপহার দেয় মুমিনুল হকের দল। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১২৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ৩৯৫ রানের বড় লিড থাকায় স্বাভাবিকভাবেই টাইগারদের ফলো অনে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন সকালে প্রথম ঘণ্টা অবশ্য একটু স্বস্তিরই ছিল। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি।
লাঞ্চ বিরতির আগেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাদমান ইসলাম ২১ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ২৯ রানে। দ্বিতীয় সেশনে টাইগাররা হারায় আরো ৩ উইকেট। এবার একে একে ফেরেন নাইম ইসলাম, মুমিনিল হক ও ইয়াসির আলী। এর আগে করেন যথাক্রমে ২৪, ৩৭ ও ২ রান।
শেষ সেশনে লড়াইয়ে বেশ ভালো করছিলেন লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু ধৈর্য্যের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে সোহান ৩৬ রানে আউট হন। এর আগে লিটনের সাথে গড়েন ১০১ রানের জুটি। এটাই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
একপ্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন লিটন দাস। কিউই বোলারদের হতাশ করে তিনি তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার একক লড়াই থামে ১০২ রানে। এরপর পরাজয়ের অপেক্ষায় ক্ষণ গুণতে থাকে বাংলাদেশ।
মেহেদী মিরাজ ৩ ও শরিফুল ইসলাম ০ রানে আউট হন। শেষ উইকেটে সামান্য লড়াই করেন তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন। যা ইনিংস ব্যবধান এড়াতে যথেষ্ট ছিল না।
এই ম্যাচেই অবসর নেয়া রস টেইলরের বলেই ঘটে ম্যাচের পরিসমাপ্তি। তার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন এবাদত হোসেন। একইসঙ্গে নিউজিল্যান্ড পায় বড় জয়।