রপ্তানি আয় ৮০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য
সোহেল রহমান : রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তিন বছর মেয়াদী রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নতুন রপ্তানি নীতিতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার কোটি ডলার বাড়িয়ে ৮ হাজার কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যমান রপ্তানি নীতিতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার কোটি ডলার। বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নতুন রপ্তানি নীতি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নতুন রপ্তানি নীতিতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে মেইড ইন বাংলাদেশ ধারণাকে আরও উদ্বুদ্ধকরণের কথা বলা হয়েছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায় এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে তৈরি পোশাক শিল্পকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রপ্তানিমুখী সব খাতকে একই ধরনের সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পণ্য ও সেবা খাতের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
নতুন রপ্তানি নীতি কার্যকর হলে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়বে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত রপ্তানি নীতিতে আটটি অধ্যায় থেকে বাড়িয়ে নয়টি অধ্যায় করা হয়েছে। এতে অগ্রাধিকারমূলক ও সম্ভাবনাময় কিছু পণ্য ও সেবা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকৌশল প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে খসড়ায়। অন্যান্যের মধ্যে নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবসা-বিনিয়োগ সহজীকরণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে টেকসই উন্নয়ন নীতি-নির্ধারণে কৌশল প্রয়োজন। আইসিটি সার্ভিসেস এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতসহ সেবা খাতে সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আমদানি নীতির আদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের ক্ষেত্রসমূহের সামঞ্জস্য বিধান রাখাটাও জরুরি। এছাড়া বিনিয়োগ সহজকরণের নির্দেশনা ও পণ্য সেবা বহুমুখীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ মুদ্রা বাজারে ডলারের বিনিময় হার ঊর্ধ্বমুখীর বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে দাম ওঠা-নামা করলেও ডলারের রেট খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের কিছু ডিফারেন্স আছে, সেটি আমরা স্বীকার করি। আমাদের মূল্যস্ফীতিতে আমদানি মূল্যস্ফীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা বাইরে থেকে মালামাল ক্রয় করি, রেটের কারণে সেই মালামালের দামটা বাড়ে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অন্যদিকে যেহেতু রপ্তানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। আমদানির জন্য সেখানে ফিন্যান্সিং করা লাগে। তাই মার্কেট ওঠা-নামা করবেই। সেটা অনেক বেশি ওঠা-নামা দেখতে পারবো না। আমাদের এখানে রেট বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।