সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
মাসুদ মিয়া: দেশের শেয়ারবাজার একদিন পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার আবারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেইসঙ্গে সূচক বাড়লেও দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এর মধ্যেই পাঁচ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের আধাঘণ্টার মাথায় সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
অবশ্য সূচক ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি। ফলে প্রথমঘণ্টার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এতে দিনশেষে শেয়াবাজারে বড় উত্থান হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু শেষ দুই ঘণ্টায় বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে আটকে যায় সূচকের বড় উত্থান।
দিনের দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ১৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৪২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৬৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৭টির। আর ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
এ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- রংপুর ফাউন্ড্রি, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুডস, পেনিনসুলা চিটাগাং এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হলেও এক পর্যায়ে বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। অর্থাৎ যাদের কাছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে চাচ্ছিলেন না। অন্যদিকে, ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডের ৬০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৪ কোটি ৪০ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
লনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:-বিএসসি, পাওয়ার গ্রীড, বেক্সিমকো লিঃ,প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আরএকে সিরামিক, ফরচুন সুজ, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক আল ইসতিসনা, ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও তৌফিকা ফুড।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:-রংপুর ফাউন্ড্রী, বিএসসি, ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুডস, পেনিনসুলা চিটাগং, জেমিনী সী ফুড, এএমসিএল (প্রান), অ্যাপেক্স ফুটওয়ার, ওয়াটা ক্যামিকল ও পাওয়ার গ্রীড।
অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:-এসআইবিএল, বিআইএফসি, মেঘনা পেট, ভ্যানগার্ড[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ ংঃধৎঃ: }থএড়ইধপশ[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ বহফ: }থএড়ইধপশ এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিঃ ফাঃ ১, শ্যামপুর সুগার, এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিঃ ফাঃ, মুন্নু এগ্রো, এশিয়ান টাইগার ও পিপলস ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির এবং ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।