অর্থনীতি ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯২টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেয়র আইভী বলেন, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমি নারায়ণগঞ্জবাসী ও আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যেতে চাই। দলমত নির্বিশেষে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আমার কাজ চলমান থাকবে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এ বিজয় শুধু আমার বিজয় নয়। এ বিজয় তৈমুর আলম খন্দকারের বিজয়। এর আগে রোববার ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা মার্কার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার ছাড়াও মেয়র পদে লড়ছেন আরও ছয় জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি প্রতীক), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ প্রতীক) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি প্রতীক)।
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠিত হওয়ার পর এবার তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১১ সালে নির্দলীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমানকে ১ লাখ ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন আইভী।