ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ : ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে এই খাতে আয় কমে ছিলো ৭২ শতাংশ। অবশ্য কোভিড কমার সঙ্গে সঙ্গে এই খাতেও কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে। এনডিটিভি
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিডের কারণে পর্যটন খাতে বাংলাদেশ বার্ষিক আয় হারিয়ে ২.৩ বিলিয়ন ডলার। আর মহামারির কারণে এই খাতের ৪ লাখ ২০ হাজার কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মধ্য এশীয় অঞ্চলে ১৫০ মিলিয়ন মানুষ পর্যটন খাতে কাজ করেন। কোভিডের কারণে শুধু বিমান চলাচলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ মিলিয়ন মানুষ চাকরি হয়েছে। নিউজএজ
২০২১ সালে বিশ্ব পর্যটন খাতে আয় হয়েছে ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালে এই খাতে আয় হয়েছিলো ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। কোভিড মহামারির পূর্বে ২০১৯ সালে এই খাতে আয় হয়েছিলো ৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার।
২০২০ সালের পর ইউরোপে বিদেশি পর্যটকদের আগমন বেড়েছে ১৯ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে ১৭ শতাংশ। পরদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বিশ্ব পর্যটকদের আগমন ২৪ শতাংশ কমছিলো। ২০২০ সালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিদেশে পর্যটকদের আগমন কমেছে ৬৫ শতাংশ। আর করোনা মহামারির শুরুর দিকে কমেছিলো ৯৪ শতাংশ।
দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরীয় ইউরোপ, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে বিশ্ব পর্যটকদের আগমন সবচেয়ে বেড়েছে। তবে ২০১৯ সালে তুলনায় ২০২১ সালে দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরীয় ইউরোপে পর্যটকদের আগমন ৫৪ শতাংশ কম ছিলো। আর মধ্য আমেরিকায় ৫৬ শতাংশ কম ছিলো। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে কম ছিলো ৩৭ শতাংশ। ইউএনডব্লিউটিও প্রতিবেদনে জানায়, চলতি বছর আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমন বিশ্বব্যাপি অঞ্চল ভেদে ৩০ থেকে ৭৮ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে সেটাও ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক কম।
বিশেষজ্ঞরাও ২০২৪ সালেও পর্যটন ব্যবস্থা ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করেন না। সম্পাদনা : রাশিদ