তালেবানের অধীনে কাজ হারান ৫ লাখের বেশি আফগান
অর্থনীতি ডেস্ক : গত বছরের আগস্টে রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জানিয়েছে, তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ৫ লাখের বেশি মানুষ কাজ হারিয়েছে বা চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বুধবার সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের অর্থনীতি ‘পঙ্গু’ হয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করে আইএলও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাজ এবং কাজের সময় নষ্ট হচ্ছে।
ঐ বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, দেশটিতে বিশেষ করে নারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। চলত বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দেশটিতে চাকরি হারানোর সংখ্যা ৭ লাখের বেশি হতে পারে। তবে আফগানিস্তানের চলমান সংকট এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণে বিধিনিষেধের কারণে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বৈশ্বিক মানদ- অনুযায়ী, দেশটিতে কর্মসংস্থানে নারীদের অংশগ্রহণ তলানিতে রয়েছে। আইএলও’র শীর্ষ
সমন্বয়কারী কর্মকর্তা রামিন বেহজাদ বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই জটিল এবং দেশটির স্থায়ীত্ব বাড়াতে জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যদিও অবিলম্বে মানবিক চাহিদা মেটানোই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে দীর্ঘস্থায়ী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধার নির্ভর করবে দেশটির জনগণ এবং সম্প্রদায়ের উপযুক্ত কর্মসংস্থান, জীবিকা এবং মৌলিক পরিষেবাগুলো কতটা পাচ্ছে তার ওপর।
আইএলও বলছে, আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। এই ঘটনাকে বিপর্যয় বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে কৃষি কাজ থেকে শুরু করে বেসামরিক বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কর্মীদের চলে যেতে হচ্ছে অথবা কাজের বিনিময়ে তারা কোনে অর্থ পাচ্ছেন না। নির্মাণ ক্ষেত্রে ৫ লাখ ৩৮ হাজার কর্মীর মধ্যে ৯৯ শতাংশই পুরুষ। তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে।
তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য চাকরি ছেড়েছেন বলে জানিয়ে আইএলও। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থাগুলো সহায়তা না দেওয়ায় নগদ অর্থ সংকটে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন শিক্ষক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। সূত্র : জাগোনিউজ