করোনাকালে বেড়েছে কেক ও পেস্ট্রি বিক্রি
ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ : জন্মদিন, বিয়ে বার্ষিকী, মা দিবস, বাবা দিবস, ভ্যালেন্টাইনস ডে ও ক্রিসমাস ডে ইত্যাদি বিশেষ দিনে কেক কাটা হবে না সেটা কল্পনাই করা যায় না।
মহামারির আগের দশকে গড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৭ শতাংশ। সেই সঙ্গে বেড়েছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ছোট, মাঝারি ও বড় কোম্পানিগুলো কেকের বাজারে প্রবেশ করেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাদের বিক্রি। ডেইলি স্টার
লকডাউনের সময় পরিবারের সবাই একসঙ্গে বাড়িতে সময় কাটিয়েছেন। অনেকেই আগে কখনো এভাবে পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন সময় কাটানোর সুযোগ পাননি। এই কারণে দেখা গেছে কারো জন্মদিন, বিয়ে বার্ষিকীসহ বিশেষ দিনে সবাই মিলে কেক কেটে আনন্দ করেন।
মহামারির সময় কুপার্স বেকারি ১৫টিরও বেশি আউটলেট খুলেছে। তাদের এখন আউটলেটের সংখ্যা ৫২টি। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৬টি আর বাকি ৪৬টি ঢাকাতে।
কেক ও পেস্ট্রি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দেশের অভ্যন্তরে কেক ও পেস্ট্রির বাজার আনুমানিক ৪শ কোটি টাকার।
বাজারে স্বাভাবিকভাবে যে কেকগুলো পাওয়া যায় সেগুলো প্রতি পাউন্ড ৮শ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। আর কিছু কিছু গ্রাহক বিশেষ কেক নিতে চান। সেগুলোর প্রতি পাউন্ডের মূল্য ২ হাজার ৫শ টাকা থেকে শুরু।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর কামরুজ্জামান কামাল বলেন, কেক ও পেস্ট্রির বাজারে আগে অনেক অসংগঠিত ছিলো। এখন অনেক ব্র্যান্ড নিজেদের মধ্যে একটা চেইন তৈরি করেছে। ফলে গ্রহকরা মানসম্পন্ন পণ্য পাচ্ছেন।
প্রাণ ২০১৪ সালে কেক ও পেস্ট্রির বাজারে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সারাদেশে ২৩০টির বেশি আউটলেট রয়েছে তাদের। মিঠাই ব্র্যান্ড ২০১৫ সালে মিষ্টি খাবারের আইটেম চালু করে। এখন সারাদেশে তাদের আউটলেট ১৩০টিরও বেশি।
ওয়েল ফুডের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ব্র্যান্ড বেকারি পণ্যের জন্য বিশেষায়িত। তবে কেক ও পেস্ট্রির বাজারও ভালো। মানুষের মধ্যে আগের চেয়ে দিবস উদযাপনের প্রবণতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কেক ও পেস্ট্রির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাজারে আমরা আরো বেশি মনোযোগ দিতে চাই। চট্টগ্রাম ভিত্তিক এই ব্র্যান্ডটি ১৮ বছর আগে তাদের যাত্রা শুরু করেছিলো। এখন ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে তাদের ৭০টি আউটলেট রয়েছে।
পাশাপাশি কোভিডের সময় বেড়েছে হোম মেড কেকের বিক্রি। ঢাকাতে বসবাসকারী গৃহবধূ হাফিজা খতুন সীমা বলেন, কোভিডের আগে আমি সন্তানদের জন্য বাসায় কেক তৈরি করতাম। পরিচিত দুই একজনকে মাঝে মধ্যে তৈরিও করে দিতাম। কিন্তু কোভিডের সময় একটি পেইজ খুলে কেক বিক্রি শুরু করি। অল্প দিনের মধ্যে আমার গ্রহকরাই প্রচারের কাজটা করে দেন। সেই সময় আমার কেক বিক্রি বেশ ভালোই ছিলো। সম্পাদনা : রাশিদ