নিজস্ব কর্মী বাড়ায় উদ্বেগে সৌদি প্রবাসী শ্রমিকরা : জেদ্দা কনস্যুলেট
অর্থনীতি ডেস্ক : সৌদি শ্রমবাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাদের নিজস্ব কর্মী, সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রবাসী শ্রমিকদের সমস্যা। বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি শ্রমবাজার নিয়ে এসব উদ্বেগের কথা জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণায়লকে চিঠি লিখেছে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস।
বুধবার জেদ্দা কনস্যুলেট থেকে পাঠানো চিঠিটি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়। চিঠিতে জেদ্দাভিত্তিক ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটকে উদ্বৃত করে প্রবাসী শ্রমিকদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
কনস্যুলেট জানায়, ২০১৮ সালের শুরু থেকে ২০২১ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষ পর্যন্ত ৪৫ মাসের মধ্যে মোট ১০ লাখ ৫ হাজার পুরুষ ও মহিলা বিদেশি শ্রমিক সৌদি কর্মসংস্থানের বাজার ছেড়েছে। এই সংখ্যাটি দেশটিতে মোট বিদেশি কর্মীর ১০ দশমিক ১২ শতাংশ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের ওপর বাড়তি ইকামা ফি আরোপকে সৌদি আরব থেকে তাদের ব্যাপক প্রস্থানের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০১৮ সালে প্রবাসী ফির মাসিক পরিমাণ ছিল প্রতি কর্মী ৪০০ সৌদি রিয়াল। এই ফি ২০১৯ সালে ৬০০ এবং ২০২০ সাল থেকে ৮০০ সৌদি রিয়াল করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণায়লকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসী ফি আরোপের আগে ২০১৭ সালের শেষে অ-সৌদি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১০.৪২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছিল। এই সংখ্যা প্রতি বছর কমতে থাকে, যা ২০২১ শেষে ৯.৩৬ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
একই সময়ে সৌদি পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের শ্রমবাজারে প্রবেশের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭৯ হাজার (পুরুষ ও মহিলা) বেড়েছে, যা আগের চেয়ে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এতে বর্তমানে সৌদি কর্মীর সংখ্যা ৩ দশমিক ৩৪ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ১৬ মিলিয়ন। জেনারেল অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর সামাজিক বিমার নিয়ম ও প্রবিধানের অধীন সৌদি পুরুষ ও নারীদের সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানায় জেদ্দা কনস্যুলেট।
একই সময়ের মধ্যে আরও ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ১ লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি পুরুষ ও মহিলা সৌদি কর্মচারী বিমা ডাটাবেসে অ্যাক্সেস পেয়েছে। এতে এই সিস্টেমের অধীনে থাকা মোট কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ২ দশমিক ১৪ মিলিয়নে নিয়ে এসেছে।
সৌদি গেজেটের বরাতে জেদ্দা কনস্যুলেট থেকে আরও জানানো হয়, সিভিল সার্ভিস আইনের অধীন দেশটির কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার বেড়েছে, যা প্রায় ২ শতাংশের সামান্য বেশি। সূত্র : চ্যানেল ২৪, নিউজবাংলা