অর্থনীতি ডেস্ক : গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে প্রাণ ফিরেছে চা শিল্পে। তবে হঠাৎ বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। শীতকালীন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে চা শ্রমিক এবং হাওর এলাকার নি¤œআয়ের মানুষের মাঝে।
বুধবার বিকেল থেকে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, “বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে ১১.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটি চলতি শীত মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত।”
এই বৃষ্টি চা শিল্পের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শ্রীমঙ্গল ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহা-ব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, চা শিল্পের জন্য এই বৃষ্টিপাত আশীর্বাদ। প্লুনিং (ছাঁটাই) করা চা গাছে এখন নতুন কুঁড়ি গজাবে। এই বৃষ্টিপাত চা শিল্পের জন্য খুবই উপকারী। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যেই চা বাগানগুলো সবুজের সমারোহে ভরে উঠবে। আগাম এই বৃষ্টির ফলে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত মান বজায় থাকবে।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালসহ জেলার সবকটি উপজেলায় ঠা-াজনিত কারণে শিশু থেকে সব বয়সী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
অন্যদিকে, মৌলভীবাজার জেলায় ২৬৯ জনের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যাদের মধ্যে ১২৩ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজারে। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৪৫.৭%। সূত্র : ঢাকাট্রিবিউন, বার্তা২৪।