বাংলাদেশে জনপ্রিয় হচ্ছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বাইক
ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ : গত বছর ১৫০ কিউবিক ক্ষমতা(সিসি) সম্পন্ন বাইকের চাহিদা ছিলো ৩০ শতাংশ। আর ১২৫ কিউবিক ক্ষমতাসম্পন্ন(সিসি) মডেলগুলোর চাহিদা ছিল মাত্র ১৩ শতাংশ। করোনা মহামারি কাটিয়ে ওঠার পর বাজারে ১০০ সিসি থেকে ১১০ সিসি বাইকের চাহিদা ছিল ১৬ শতাংশ। ডেইলি স্টার
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বাইক আমদানি করছে জাপানি হোন্ডা, সুজুকি, ইয়ামাহা, ভারতের বাজাজ, টিভিএস ও হিরো, রানার অটোমোবাইলস ও গ্রামীণ মোটরসহ আরো কয়েকটি কোম্পানি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআরটিএ) জানায়, ২০২১ সালের শেষের দিকে কোভিড মহামারি স্বাভাবিক হলে ২০২০ সালের চেয়ে বাইক বিক্রি বেড়েছে। ২০২০ সালের বাইক বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টি। আর ২০২১ সালে বাইক বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২শ ৫২টি।
২০২০ সালে প্রতি মাসে গড়ে বাইক বিক্রি হয়েছে ২৫ হাজার ৯শ ১৮টি। আর ২০২১ সালে প্রতি মাসে বাইক বিক্রি হয়েছে ৩১ হাজার ২শ ৭১টি।
কোভিড পরবর্তী অবস্থা পূর্বের থেকে আরো ভালো হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে নতুন উদ্যোমে কাজ করছে বাইক সেক্টরের ব্যবসায়ীরা। ২০১৯ বাইক বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ। তার আগের বছর বিক্রি হয়েছিলো প্রায় ৪ লাখ।
এসিআই মটরস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, ২০২১ সালে মানুষের চাহিদার ব্যাপকভাবে পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মোটরবাইকের দিকে ব্যাপকভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সুব্রত রঞ্জন দাস আরো বলেন, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বাইকের বিক্রি বৃদ্ধি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি কমে আসায় মানুষ বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। মাত্র দুই লাখ টাকা ব্যয় করে মানুষ আরামদায়ক ও তুলনামূলক নিরাপদ যান হিসেবে বেছে নিচ্ছে। সম্পাদনা: রাশিদ