মো. আখতারুজ্জামান : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসরে ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৩৮ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ এসেছে। একই সঙ্গে এক মাসে এ মেলায় পণ্য বিক্রি থেকে ভ্যাট আদায় হয়েছে দেড় কোটি টাকা।
সোমবার রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন ও বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এবার বাণিজ্যমেলায় ১৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মোট পণ্য বিক্রি প্রায় ৪০ কোটি টাকার এবং ভ্যাট আদায় হয়েছে দেড় কোটি টাকা। আগামী বছর বাণিজ্যমেলার পরিধি অনেক বড় হবে বলেও জানান তিনি। এবারের মেলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১২ ক্যাটাগরিতে ৪২ অংশগ্রহণকারী, বিভিন্ন দপ্তরের ১০ কর্মকর্তা এবং ২৭ সংস্থা পুরস্কার পেয়েছে। এ বিক্রি থেকে এক কোটি ৫০ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নতুন ভেন্যুতে এবারের বাণিজ্যমেলা খুবই সফল হয়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সার্বিক অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও সিদ্ধান্তের কারণে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও দেশের বাণিজ্য এবং অর্থনীতি সচল রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের অধীনে থেকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি পাচ্ছে। একসময় বিদ্যুতের অভাবে দেশে শিল্প কলকারখানা স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। আজ বাংলাদেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নতুন ক্যাম্পাসে এবারের বাণিজ্যমেলা খুবই সফল হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অনেক প্রতিকূল পরিবেশে এবারের বাণিজ্যমেলা শেষ হলো। দেশের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বছর ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব হবে। আগামী ২০২৪ সালে দেশের রপ্তানি ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে আমাদের অনেক বাণিজ্য সুবিধা থাকবে না। আমাদের প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে। তখন পিটিএ অথবা এফটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। চলতি বছর আমরা চারটি দেশের সঙ্গে এরকম বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য কাজ করছি।
এবার প্রথম রাজধানীর উপকণ্ঠে নতুন শহর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) শুরু হয় মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।