শরীফ শাওন : বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। শুক্রবার সকালে মেঘের প্রভাবে সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসে রাজধানীজুড়ে। বেলা ১১টা থেকেই বিভিন্ন স্থানে হালকা ও মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দিনভর থেমে থেমে চলতে থাকে হালকা ও মাঝারি মানের বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম জানান, দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এতে তাপমাত্র ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাবে। এরপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকা, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশালের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইসাথে কিছু কিছু স্থানে ভারী বর্ষনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারী ধরণের কুয়াশা পড়বে। পরবর্তী ৭২ ঘন্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৭ মি. মি. রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দুপুর ১২টায় রেকর্ড করা হয় ২৮ মি. মি। বৃষ্টি ও শীতের হিমেল হাওয়ায় সকাল থেকেই ঘরবন্দি উপজেলাবাসীরা, কর্মহীন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে দিনমজুর ও নিন্ম আয়ের লোকজন।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক দোকানপাট বন্ধ, কেউ দোকান খুললেও নেই ক্রেতা। কাজে বের হয়নি অনেকে, কর্মের অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন দিনমজুর। তবে ফসল নিয়ে সবচয়ে আতঙ্কে রয়েছেন উপজেলার কৃষকরা। এ জেলায় কৃষি পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার, সেচ আওতাধীন জমির পরিমান ২৫ হাজার হেক্টর। এখানে প্রধানত ধান, গম, সরিষা, ভূট্টা ও শাক সবজীর চাষ করা হয়।
দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক হুমায়ুন কবির বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে জমিতে জ¦লাবদ্ধতা হতে পারে। এতে ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে। তবে উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আব্দুল্লা আল মামুন জানান, যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, এভাগে আরও একদিন বৃষ্টিপাত হলেও ফসলের ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই। এ পরিমান বৃষ্টিপাতে জমিতে পানি জমাট বাঁধার উপায় নেই।