হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উদযাপিত
সুজন কৈরী : শনিবার শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে ভক্তরা বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠার্থী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানিয়েছেন তারা।
করোনাকালে এবারের সরস্বতী পূজার আয়োজন ছিল সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। পূজার আনুষ্ঠানিকতার বাইরে অন্য কোনো আড়ম্বরতা ছিল না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেখানে সরস্বতী পূজার আয়োজন তেমন একটা ছিলো না। তবে অন্যান্য মন্দির, পূজাম-প কিংবা ভক্তদের ঘরে ঘরে পূজার আয়োজন ছিলো। সরস্বতী পূজার দিন শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়। এছাড়া এবার জাতীয় প্রেসক্লাবেও পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর রমনা কালী মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, জয়কালী মন্দির রোডের রামসীতা মন্দির, ইসকন মন্দির, ব্যাংকার্স পূজা পরিষদ, ঠাঁটারীবাজার শিবমন্দির, বিহারী লাল জিউ মন্দির, রাধাগোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, আগারগাঁওয়ের তালতলা সার্বজনীন মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির, ঢাবির জগন্নাথ হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠনের উদ্যোগে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়। পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় হয় আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে শনিবার সকাল ৯টায় পূজা কার্যক্রম শুরু হয়। ১০টায় দেওয়া হয় অঞ্জলি।
শনিবার সকালে মানিক মিয়া এভিনিউস্থ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় রাজধানী স্কুলে সরস্বতী পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখ-ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন।