ফরহাদ আমিন : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। হঠাৎ করে সাগরে ইলিশ মাছের খবরে দলে দলে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছুটে যেতে দেখা যায়। তবে ইলিশের দামও চড়া বলে জানা গেছে। ফলে ইলিশ মাছ ছোট হলে দাম চড়া। যদি বড় আকারের ইলিশ হত তাহলে দাম আরও অনেক বেশি পাওয়া যেত। অনেক বছর আগে এই রকম দুই বার ইলিশ মাছের দেখা মিলে ছিল বলে জানা গেছে।
বুধবার সকালে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন থেকে বাহারছড়া শামলাপুর সাগর উপকূলের বিভিন্ন নৌ-ঘাট থেকে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে জেলেরা বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়। সাগরে জাল ফেলার ঘণ্টা খানিক পর জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছের দেখা মিলে। জেলেরা জালসমূহ নৌকায় তুলে মাছ নিয়ে কূলে ফিরে আসতে থাকে। তবে সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরার খবরে বিভিন্ন ঘাটের ক’লে থাকা নৌকা গুলো তড়িগড়ি করে সাগরে মাছ শিকারে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকায় নেমে পড়ছে।
সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া নৌকা গুলো কম বেশি সবাই ইলিশ মাছ শিকার করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতি নৌকাতে কমপক্ষে অর্ধ লক্ষ ও লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ধরা পড়েছে বলে জানায় নৌকার মালিকরা।
সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ ঘাটের জেলে আবদুল আমিন জানান, বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গেলে ভোর সকালের দিকে জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগর থেকে মাছসহ জাল তুলে নৌকা নিয়ে এসে মাছ ক’লে আনা হয়। তবে মাছের সাইজটা একটু ছোট, বড় হলে অনেক টাকা পাওয়া যেত।
সাবরাং মুন্ডার ডেইল জেলে ঘাটের বোটের মালিক হাসিম কোম্পানি জানান, ভোর সকালের দিকে জেলেরা খবর পাঠায় বোটে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। অনেক দিন পর ইলিশ মাছ ধরার খবর পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি। এদিকে একদিনে টেকনাফ উপজেলায় ২-৩ লাখের অধিক ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে বলে জানায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুল জলিল জানান, আমি সাগরের বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রায় এক লাখ পিস মাছ ক্রয় করেছি। এবারের ইলিশ মাছের সাইজ একটু ছোট হলেও দাম মোটামুটি রয়েছে। তবে সাগরে এই ছোট সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ধরা পড়ায় একটু চিন্তা রয়েছে। ক্রয়কৃত ইলিশ মাছ ঢাকায় চালান করা হবে। ভাগ্যে কী ঘটে তা আল্লাহ জানে। তবে সাইজা একটু বড় হলে চিন্তামুক্ত থাকতে পারতাম।