ইমরুল শাহেদ : এ কথা বলেছেন ‘গোর’ ছবির নির্মাতা গাজী রাকায়েত। এই ছবিটি ২৬টি ক্যাটেগরিতে ঘোষিত জাতীয় পুরস্কারের মধ্যে ১১টি শাখায় পুরস্কার পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিল্পমান কখনো প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিবেচনা হয় না। পুরস্কার হলো অনুপ্রেরণা। আমার ছবিটি নির্মাণ করেছি দায়বদ্ধতা থেকে। সৃজনশীল মানুষেরা বরাবরই সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। শিল্পী হিসেবে সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমি গোর ছবিটি নির্মাণ করেছি। আমি চেয়েছি আমার ছবিটি দর্শক দেখুক। এখন আমার ছবিটি দর্শক দেখবে। আমি তাদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হবো।’
এর আগে তিনি এর চাইতেও বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মানে জাতীয় স্বীকৃতি। এক সময় চিত্রকর্মীদের একটা টার্গেট থাকতো যে, তারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন যাতে ছবিটি ব্যবসা সফল হয় এবং একইসঙ্গে জাতীয় পুরস্কারও পায়। মনে হয় সে সময়টা আবারো ফিরতে শুরু করেছে। ২০১৩ সালে নির্মিত গাজী রাকায়েতের মৃত্তিকা মায়া ১৭টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। এরমধ্যে শ্রেষ্ঠ পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা হিসেবে পুরস্কৃত হন গাজী রাকায়েত।
‘বিশ্ব সুন্দরী’ ছবিতে শ্রেষ্ঠা অভিনেতা হিসেবে এবারই প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সিয়াম আহমেদ। এই প্রতিবেদককে নিজের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমে বাবা-মাকে জানালাম। আমি জানি তাদের মতো খুশি তো আর কেউ হবেন না। তারা এতো খুশি হয়েছেন যে বলে বোঝাতে পারবো না। ক্যারিয়ারের এতো অল্প সময়ে প্রত্যাশার চাইতে বেশি ভালোবাস পেয়েছি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়াটা তাই আমার জন্য বিশাল ব্যাপার। আমার কাছে সব স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।
গোর ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী রোজালিন দ্বিপাম্বিতা মার্টিন বলেন, আসলে খবরটা পাওয়ার পর আমি একটু চমকে গেছি। ১২ বছর বয়স থেকে আমি কাজ করি। কখনো পুরস্কার পাওয়ার কথা মনে রেখে কাজ করিনি। চারপাশের পরিচিতরা আমাকে ফোন করে উইশ করছে। মনে হলো তারা খুব খুশি হয়েছেন। সুতরাং আমিও খুশি।