মো. আখতারুজ্জামান : গাবতলী পর্যন্ত পণ্যের এক দাম। গাবতলী থেকে ফার্মগেট আসতে আসতে আরও দাম বেড়ে যায়। ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজারে ট্রাক ঢুকতে গিয়ে দাম আরও বেড়ে যায়। ট্রাকের লাইনে আরও বেড়ে যায় বলে জানান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার সমিতির নেতাদের সঙ্গে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
এএইচএম সফিকুজ্জামান জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাজার তদারকিতে মার্চ থেকে মাঠে নামবে বিশেষ টিম। পুরো রোজার মাসজুড়ে এই টিম বাজার তদারকির কাজ করবে।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারটি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে থাকবে ৬টি। এছাড়া ৬৪ জেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অফিসাররা আছেন, তারাও থাকবেন।
রোজায় বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যায় জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। তেলের যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তা ঈদের দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
তিনি বলেন, তেলের এলসি গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি খোলা আছে। রোজায় অনেক ক্ষেত্রে আমাদের কনজাম্পশন ডাবল হয়ে যায়। প্রতি মাসে যেখানে ২ লাখ মেট্রিক টন তেলের কনজাম্পশন, সেখানে রোজায় হয়ে যায় ৩ লাখ ৮০ হাজার টন। অর্থাৎ প্রায় ডাবল হয়ে যায়। একইভাবে মশুর ডাল, চিনিরও প্রায় ডাবল হয়ে যায়। সে অনুযায়ী আমাদের মজুত পরিস্থিতি যথেষ্ট সন্তোষজনক।
সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের পরিবহন সেক্টরে বড় ধরনের ব্যত্যয় আছে। পথে পথে যে স্লিপ দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে কনসার্ন যারা আছেন। জননিরাপত্তাসহ আমাদের পরিবহন সেক্টরের যারা আছেন, তাদের নিয়ে একটা মিটিং করবো। পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে এ জন্য আমাদের এই প্রস্তুতি। কোনো ব্যবসায়ী কারচুপি করছে। এ ধরনের তথ্য আমরা পেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবারের রোজায় আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব, আমরা চেষ্টা করে যাব। ভোক্তা অধিকারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছে ক্রয় ভাউচার থাকতেই হবে। ক্রয় ভাউচার না থাকা ভোক্তা আইন অনুযায়ী একটা বড় অপরাধ। ঈদুল ফেতর পর্যন্ত এই ক্ষেত্রে আমরা কোনো ছাড় দেবো না। ঢাকার মৌলভীবাজার এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দুই বাজার এবং যারা বড় ব্যবসায়ী আছেন। আমদানিকারক, তারা যদি ঠিক থাকেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট পাওয়ার কথা না। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে ব্যবসা করুক। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীর পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।