অর্থনৈতিক অগ্রগতির মধ্যেও তিন ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশ
অর্থনীতি ডেস্ক : বিলম্ব না করে শিগগিরই কোভিড-সংক্রান্ত সরকারি খরচের নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। করোনা প্রতিরোধে সব সরকারি খরচের নিরীক্ষার সম্পন্ন করাকে স্বাগত জানিয়েছে সংস্থাটি।
করোনা পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে গড়ে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে তার আর্টিকেল ফোর কনসালটিং পর্যবেক্ষণ শেষ করেছে। গত শুক্রবার এটি প্রকাশ করা হয়েছে। আইএমএফ বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
মূলত রপ্তানি পুনরুদ্ধার, কোভিড মোকাবিলায় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন ও সময়োপযোগী মুদ্রানীতি নেওয়ার কারণে এমন প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করে আইএমএফ।
অর্থনৈতিক অগ্রগতি হলেও, বাংলাদেশের সামনে এই মুহূর্তে তিনটি ঝুঁকি আছে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। এগুলো হলো করোনার অনিশ্চিত গতিপথ, টিকাদানের নি¤œ হার ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ এবং উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, আধুনিক নীতি কাঠামো ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে বলেছে আইএমএফ। আইএমএফ বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত উঠতে পারে।
বাংলাদেশের আর্থিক খাত সম্পর্কে আইএমএফের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংক খাতের ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। তাই ব্যাংক খাতের তদারকি শক্তিশালী করার পাশাপাশি করপোরেট সুশাসন উন্নত করার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। ব্যাংক খাতে বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরতে আইনি সংস্কারের পরামর্শও দিয়েছে আইএমএফ। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের উন্নয়নের সুপারিশও করা হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সুশাসন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার তাগিদও দেওয়া হয়েছে। সূত্র : জাগোনিউজ, বাংলানিউজ, নিউজবাংলা।