মো. আখতারুজ্জামান : বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ্য থেকে নানা পদক্ষ্যে নেওয়ার পরেও কোনো সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এই অস্থিরতা ঠেকাতে ভোজ্যতেল বিক্রিতে নতুন নিয়মের কথা জানিয়েছে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আগামী শুক্রবার থেকে রসিদ ছাড়া বিক্রি করা যাবে না তেল। আর মে মাস থেকে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ। রমজান পর্যন্ত পর্যাপ্ত তেল মজুত আছে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিপ্তরের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কথা উঠে আসে, সরবরাহ না করা, দাম বেশি নেওয়া, পাকা রশিদ না দেওয়াসহ নানা তথ্য। তাদের দাবি, মিল থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতে গঠন করতে হবে যৌথ মনিটরিং টিম।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, রমজান পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে দেশে পর্যাপ্ত তেল মজুত আছে। সংকটের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশে ভোজ্যতেলের দামের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। সভায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, মিল বিগত একমাস আমাদের কাছে কোনো সয়াবিন তেল বিক্রি করেনি। আমাদের আগে যেগুলো সরবরাহ করেছিল, সেগুলো সরবরাহ করতেও আমাদের সমস্যা হচ্ছে। তাই আপনাদের অনুরোধ আপনারা সরবরাহটা ঠিক করেন।
এদিকে সভায় প্রতিনিধিরা দাবি করেন, মিল থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতে গঠন করতে হবে যৌথ মনিটরিং টিম। তারা আরও বলেন, দেশে বেশি মিল নেই। ৫ থেকে ৬টা রয়েছে। মিল গেটে ভোক্তা অধিদপ্তরের লোক থাকবে, এফবিসিসিআই’র লোক থাকবে এবং প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের লোকও রাখতে পারেন। আমরা সেখানে দেখব কোন মিল কতটুকু তেল সরবরাহ করছে।
সভায় ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, দেশে পর্যাপ্ত ভোজ্যতেল মজুত থাকলেও কৃত্রিম সংকট বানিয়ে দাম বাড়ানোয় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের বর্তমানে যে পরিমাণ মজুত রয়েছে, তাতে রমজান মাস পর্যন্ত কোনো ধরণের সমস্যা হবে না। ইউক্রেনে যুদ্ধের বিষয়টি এখানে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সভায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আজ বুধবার মিল মালিক, পাইকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এবারের সংকট শক্তহাতেই মোকাবিলা করা হবে বলে জানায় ভোক্তা অধিদপ্তর ।