জেরিন আহমেদ : পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক দেশ ও কোম্পানি রাশিয়া থেকে তেল কেনা থেকে বিরত থাকে। এর ফলে রুশ ক্রুডে (অপরিশোধিত তেল) রেকর্ড পরিমাণ ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়। আগামী মে মাসে এই চালান ভারতে পৌঁছাবে। রয়টার্স, টিবিএস বাংলা অনলাইন
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক দেশ ও কোম্পানি রাশিয়া থেকে তেল কেনা থেকে বিরত থাকে। এর ফলে রুশ ক্রুডে (অপরিশোধিত তেল) রেকর্ড পরিমাণ ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়। আইওসি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে জানিয়েছিল, বিভিন্ন জটিলতা এড়াতে ডেলিভারির ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে তেল কিনবে প্রতিষ্ঠানটি।
পণ্য হিসেবে তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ায় আর সরাসরি বাণিজ্য না হওয়ায় কারগো খরচ দেওয়া সমস্যার মনে করছে না প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতি ব্যারেলে ২০-২৫ ডলার ছাড় দিয়ে তেলের কারগো বিক্রি করেছে ভিটল।
অন্যদিকে, আবু ধাবির মুরবান ক্রুড থেকে ২০ লাখ ব্যারেল এবং নাইজেরিয়ার আকপো ও ফোরকাদোজ এবং ক্যামেরুনস কোল থেকে ১০ লাখ ব্যারেল করে কিনেছে।
পশ্চিমাদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করতে যাচ্ছে ভারত। রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়ে দেশটি থেকে কম মূল্যে অপরিশোধিত তেল এবং অন্যান্য পণ্য আমদানি করার কথা ভাবছে ভারত। দুই ভারতীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, রুপি-রুবল লেনদেনের মাধ্যমে এর মূল্য পরিশোধ করবে ভারত।
ভারত আমদানির মাধ্যমেই দেশের ৮০ শতাংশ তেলের চাহিদা পূরণ করে। এ আমদানির মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ হয় রাশিয়া থেকে। কিন্তু এবার তেলের দাম ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর কথা ভাবছে মোদি সরকার।
ভারতের একজন সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, রাশিয়া অনেক কম দামে তেল এবং অন্যান্য পণ্য কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সানন্দে এই প্রস্তাব গ্রহণ করব।
যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আটকা পড়ে যেতে পারে, এই ভয়ে অনেক আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ রেখেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য ভারতের জ্বালানী আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়নি।