বীমা ও আর্থিক খাতের কল্যাণে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার
মাসুদ মিয়া : দেশের শেয়ারবাজার আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন মূলত বীমা ও আর্থিক খাতের কল্যানে ভর করে ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আট পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের প্রথম আড়াই ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে দেখতে দেখতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। ১২টা ৫৬ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক চার পয়েন্ট কমে যায়। বাজারের এ পরিস্থিতিতে দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে বীমা ও আর্থিক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। ফলে পতনের হাত থেকে রক্ষা পায় প্রধান মূল্যসূচক।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বীপরীতে দাম কমেছে ১৫০টির। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে বীমা খাতের ৫৩টি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৩টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ১৫টির ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর অপরিবর্তিত থাকে। আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে কমেছে তিনটির অপরিবতির্ত থাকে ৪টির দর।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক তিন পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৪৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
তবে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৮১ কোটি ৬১ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯২৪ কোটি ৫৭ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বাড়ল।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সোনালী পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ৭১ কোটি ৫৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিনেক্স ইনফোসিসের ৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো, জিপিএইচ ইস্পাত, ড্রাগন সোয়েটার, প্রিমিয়ার ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স এবং জিএসপি ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বীক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৯টির দাম বেড়েছে। বীপরীতে দাম কমেছে ১২৪টির এবং ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।