সুজন কৈরী: রাজধানীর খিলক্ষেতের কুড়িল ফ্লাইওভারে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা মমতাজ মীম নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন সহপাঠীরা। মাইশাকে ধাক্কা দেওয়া কাভার্ড ভ্যানের চালকের বিচারের দাবিতে শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ শুরু করে ঘটনাস্থালের দিকে যাত্রা শুরু করেন নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নতুন গেটে আসতেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরত যাওয়ার অনুরোধ করেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
শিক্ষার্থীরা ঘটনায় জড়িতদের বিচার, নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে উপস্থিত হন।
মাইশার সহপাঠী রাকিব হাসান বলেন, আমরা মাইশা হত্যার বিচার চাই। এই ঘটনায় গাড়িচালকের বিচারের দাবিতে আমরা প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি। আমরা সবাই ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নতুন গেট এলাকায় যাওয়ার পরই পুলিশ বাঁধা দেয়। ক্যাম্পাস থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি।
রাকিব আরো বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করতে চাই। আর না হলে অন্তত এক মিনিট নীরবতা পালন করতে চাই, কিন্তু পুলিশ সদস্যরা আমাদের আটকে দেন। পরে আমরা ক্যাম্পাসেই বিক্ষোভ করি।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেজনাজ আসমা বলেন, আমরা গত ৫ বছর ধরে মাঠে নামছি। তবুও সড়কে শিক্ষার্থীর মৃত্যু কমছে না। আমি বলবো এগুলো হত্যাকা-। মিমকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মিম হত্যার বিচার চাই। প্রতিবার এভাবে আমাদের সহপাঠী মারা যাচ্ছে, অথচ জড়িত কারো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না। আমরা চাই আগে আমাদের যেসব সহপাঠী সড়কে হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে, সেসব হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় কুড়িল ফ্লাইওভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা মমতাজ মিম নিহত হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। মাঈশাকে ধাক্কা দেওয়া কাভার্ড ভ্যান চালক ও সহকারীকে শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ।