অর্থনীতি ডেস্ক : নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সপ্তম শিরোপা জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রোববার নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৭১ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়ার নারীরা।
আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার করা ৩৫৬ রানের জবাবে ৪৩.৪ ওভারে ২৮৫ রানে অলআউট হয় চারবারের শিরোপা জয়ী ইংল্যান্ড। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৮, ১৯৯৭, ২০০৫ ও ২০১৩ সালে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান তোলে। আর সেটা সম্ভব হয় অ্যালিসা হিলির ১৭০ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে। উদ্বোধনী এই ব্যাটার ১৩৮ বলে ২৬টি চারে ১৭০ রান করেন। যা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে তিনি পেছনে ফেলেন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, রিকি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো কিংবদন্তিদের। শুধু তাই নয়, নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনি একমাত্র ব্যাটার যিনি সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও সেঞ্চুরি হাঁকান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১০৭ বলে ১৭টি চার ও ১ ছক্কায় ১২৯ রান করেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে তিনি র্যাচেল হেইনেসকে নিয়ে ১৬০ রানের জুটি গড়েন। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেথ মুনিকে নিয়ে গড়েন ১৫৬ রানের জুটি। তাও মাত্র ৯৮ বলে।
হিলি ছাড়া হেইনেস ৬৮ ও মুনি ৬২ রান করেন। বল হাতে ইংল্যান্ডের আনিয়া শ্রুবসোল ৩টি উইকেট নেন।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় ইংলিশ মেয়েরা। ১২ রানে প্রথম ও ৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। সেখান থেকে অধিনায়ক হিদার নাইট ও ন্যাট সিভার দলের হাল ধরেন। ৪৮ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৮৬ রানের মাথায় ফেরেন অধিনায়ক নাইট। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিল চললে জয়ের বন্দর থেকে দূরে সরতে থাকে ইংল্যান্ড।
আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে লড়াই করেন সিভার। তাকে অবশ্য আউট করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। তিনি ১২১ বল খেলে ১৫টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৪৮ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ট্যামি বেমন্ড। নাইট করেন ২৬ রান। এছাড়া সোফিয়া ২২, চার্লি ২১ ও জোন্স ২০ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার আলানা কিং ও জেস জোনাসেন ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন মেগান শুট।
ফাইনালে রেকর্ড ১৭০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্টে রেকর্ড ৫০৬ রান করে সিরিজ সেরা হন অ্যালিসা হিলি। সূত্র : জাগোনিউজ, রাইজিংবিডি