আগামীবছর এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে, এইচএসসি জুনে
শরীফ শাওন : করোনায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যহত হওয়ায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেন, সকল বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে।
দীপু মনি জানান, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীরা ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। পরবর্তীতে ১৪ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে সপ্তাহে দুদিন পাঠগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। তবে ২০২২ সালে র২০ জানুয়রি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। সর্বশেষ ১৫ মার্চ থেকে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মোট ১৬২ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। স্বাভাবিক সময়ে তা ৩১৬ কার্যদিবস হওয়ার কথা। এসকল শিক্ষার্থীরা ২০২০ সালে অষ্টম শ্রেণিতে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা দিতে পারেনি, নবম শ্রেণিতেও পরীক্ষা দিতে পারেনি। সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকায় তাদের পাঠদান অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে ১৫০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত পাঠ্যসূচি অনুসারেই পরিচালিত হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্লাশ ২০২১ সালের ১ জুলাই শুরুর কথা থাকলেও তারা ২০২২ সালের ২ মার্চ থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরেছে। দীর্ঘ ৮ মাস তারা ক্লাস করার সুযোগ পায়নি। ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান স্বাভাবিক থাকলে তারা মোট ২০০ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের প্রয়োজন ৩৩০ কর্মদিবস। এসকল শিক্ষার্থীরা ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানে সংক্ষিপ্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষায় তাদের জন্য ১৮০ কর্মদিবসের পাঠ্যসূচি অনুসরণ করা হবে।
জেএসসি-জেডিসি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধরিত সময় পেরিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, ফলে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া খুবই কষ্টকর বিষয় হবে। এসময় বোর্ডগুলো পরীক্ষার আয়োজন ও ফলাফল প্রকাশে ব্যস্ত থাকবে। তবে এসকল পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও এক থেকে দেড় মাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ২০২৩ সাল থেকে এসকল পরীক্ষা থাকছেনা জানিয়ে বলেন, তবুও আমাদের প্রস্তুতি থাকবে। তবে বার্ষিক পরীক্ষা হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি থাকবে।