এক লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করবে বিপিসি
অর্থনীতি ডেস্ক : দেশের জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখার স্বার্থে জি-টু-জি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশনের মাধ্যমে ২০২২ সালের মে-জুন মাসের জন্য এক লাখ মেট্রিক টন হাই সালফার ফার্নেস ওয়েল (এইচএসএফও) আমদানি করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৮৮ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, বিপিসি দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের ৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের থেকে মেয়াদী চুক্তির আওতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। বিপিসি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে জ্বালানি তেলের মোট চাহিদার ৫০ ভাগ জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং বাকি ৫০ ভাগ উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে আমদানি করে আসছে। বিপিসি ২০২২ সালের মে-জুন সময়ের জন্য এক লাখ মেট্রিক টন এইসএসএফও আমদানির প্রস্তাব জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে পাঠায়।
সূত্র জানায়, বিশ্ব বাজারে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং স্থানীয় সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চাহিদা অনুযায়ী পিক-আওয়ারে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চাহিদা অনুযায়ী পিক-আওয়ারে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ডিজিল/ফার্নেস অয়েল ও ডুয়েল প্তয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বেশি সময় চালু রাখার প্রয়োজনে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি-জুন পর্যন্ত সময়ে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কর্তৃক ২,৮০,৫০০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েলের চাহিদা পাঠানো হয়। বিপিডিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেড(ইআরএল)-এ উৎপাদন ও মজুত বিবেচনায় ফার্নেস অয়েল সরবরাহের জন্য জরুরি ভিত্তিতে এক লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল বিপিসি আমদানির প্রস্তাব করেছে।
বিপিডিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে ফার্নেস অয়েলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মে-জুন মাসে এক লাখ মেট্রিক টন হাই সালফার ফার্নেস অয়েল আমদনির জন্য কেপিসি ছাড়া অবশিষ্ট ৬টি জি-টু-জি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে কোটেশন আহ্বান করে ২০২২ সালের ৮ মার্চ তারিখি বিপিসি থেকে চিঠি পাঠানো হয়। কুয়েদ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (কেপিসি) ২০২২ সালে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছ। কোটেশনে প্রস্তাব দাখিলের শেষ সময় ছিল গত ১ মার্চ। কোটেশন প্রস্তাবের বৈধতা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রাপ্ত কোটেশন প্রস্তাবগুলো মূল্যায়নের জন্য গঠিত মূল্যায়ন কমিটির সভায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। প্রাপ্ত কোটেশন প্রস্তাবগুলো মূল্যায়ন শেষে ইন্দোনেশিয়ার পিটি.বুমি শিয়াক পুশাকু জাপিনকে সর্বনিম্ম দরদাতা হিসেবে তাদের মতামত দেয়।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স মূল্য অনুযায়ী মোট ৬,৮৩,৩২,০০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের প্রকৃত মূল্য হবে বিল অব লেডিং (বিএল) তারিখে প্রকাশিত প্ল্যাটসকে ভিত্তি ধরে ২ দিন আগে এবং ২দিন পরে অর্থাৎ ৫দিনের গড় মূল্য। বি/এল তারিখে প্ল্যাটস প্রকাশিত না হলে বি/এল তারিখের আগের ৩দিন এবং পরের ২দিন অর্থাৎ ৫দিনের গড় হিসেবে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সূত্র : রাইজিংবিডি