লিহান লিমা : সদ্য প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংক বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির গতি পুনরায় মন্থর হতে চলেছে। দ্য গার্ডিয়ান
আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ টুইটে বলেন, ২০২২ সালে বিশ্বের জিডিপি বাড়তে পারে ৩.৬ শতাংশ হারে। আগের পূর্বাভাস ছিল ৪.৪ শতাংশ।
আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাংকের বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের গভর্নর ডেভিড মালপাস বলেছেন, বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘর্ষের কারণে বিশ্বব্যাংক চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস জানুয়ারি মাসে ঘোষিত ৪.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩.২ শতাংশ করেছে।
আইএমএফ বলেছে, যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, যুদ্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইউরোপের অর্থনৈতিক গতি ধীর থাকবে। রাশিয়ার অর্থনীতি এই বছর শতকরা ৮.৫ ভাগ সংকুচিত হবে এবং ইউক্রেনের অর্থনীতি শতকরা ৩৫ ভাগ হ্রাস পাবে। রাশিয়ার তেল, গ্যাস, ধাতু এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম ও ভুট্টার সরবরাহের অভাবে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। সিএনএন
ডেভিড মালপাস বলেন, ঋণ বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রবৃদ্ধি হলো বিশ্বের দু’টি বড় সমস্যা। প্রায় ৬০ শতাংশ নিম্ন আয়ের দেশ ইতোমধ্যে ঋণ সংকটে পড়েছে বা পড়তে যাচ্ছে। ২০২২ সালে ঋণ সংকটের অব্যাহত অবনতি হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘর্ষের কারণে জ্বালানি, সার ও খাদ্যের দাম আকস্মিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের ওপর মুদ্রাস্ফীতির চাপ বেড়েছে। এই সময় সরবরাহ বাড়ানো এবং মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল করার জন্য সরকারগুলোকে পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।