মাসুদ মিয়া : দেশের শেয়ারবাজার ব্যাপক উত্থান এর মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। বুধবার অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে পাশাপাশি লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন অস্থিরতা পরিস্থিতি কাটিয়ে উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজার। এটা বাজারের জন্য ইতিবাচক।
গতকাল শুরু থেকেই শেয়ার দর বেড়ে উভয় বাজারে লেনদেন শুরু হয়। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ার কারণে ডিএসইর সূচকে শেষ পর্যন্ত যোগ হয় ৭৬ পয়েন্ট। যদিও লেনদেন শেষ হওয়ার ক্ষণিক আগে তা ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। শেষ সময়ের সমন্বয়ে কিছুটা কমে সেখান থেকে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছন, এর আগে উত্থানের দিনগুলোতে উত্থান-পতনের রীতিমত ভেলকিবাজি দেখা গেছে। একবার বেড়েছে, আবার নেমেছে। কিন্তু সে রকম ঘটনা ঘটেনি। গতকাল ধারাবাহিকভাবেই উত্থান হয়েছে। এতে বুঝা যায়, বাজার শক্তি সঞ্চয় করে সামনে এগিয়েছে। তারা বলছেন, এই উত্থানের পেছনে বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা রয়েছে। মনে হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬.৩৪ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬০৬.৪১ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১০.৭২ পয়েন্ট বা ০.৭৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৭.৭১ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৫৪.১২ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৬৩.৮৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬০৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৫৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬৯টির বা ৭৬০.৯৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৭৮টির বা ২০.৫৮ শতাংশের এবং ৩২টি বা ৮.৪৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর লেনদেন হয় জেএমআই হসপিটাল, আইপিডিসি, বিএসসি, বিবিএস, ফরচুন সুজ, লাফার্জহোলসিম, জেনেক্স ইনফোসেস, স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস এবং বিডি কম লিমিটেড।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২২৩.৫৬ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৫৫.৪৫ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭৫টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দর। সিএসইতে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।