বেগুন-শসার দাম কমলেও মাছের বাজার চড়া
মাসুদ মিয়া : রাজধানীতে মাছের দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন ও শসার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও মাংসের দাম। আর পেঁয়াজের কেজি ২৫ টাকায় নেমে এসেছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহ ব্যাবধানে বেগুনের কেজি ২০ টাকা কমে ৫০ টাকা থেকে ৬০ বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। আর শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। তবে দাম বেড়েছে ইলিশ চিংড়ি ও রুই মাছের। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ খুচরা ব্যবসায়ী দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ২৫ টাকা। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৩০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকা।
পেঁয়াজের এ দাম অপরিবর্তিত রয়েছে এ বিষয়ে পাঁচ ভাই ঘাটলেন ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, এখন পেঁয়াজের সিজন। হালি পেঁয়াজ আসার পর থেকে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আড়ত থেকে কম দামে কিনতে পারায় কম দামে বিক্রি করছি।
কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে এখন পেঁয়াজের সংকট নেই। পেঁয়াজের আমদানিও অনেক। এ কারণে দাম কমেছে। এখন এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ একশ টাকা বিক্রি করছি। পেঁয়াজের দাম হয়তো আর কমবে না। তবে এ দাম আরও কিছুদিন থাকবে।’
পেঁয়াজ কিনতে আসা কামাল বলেন, ২২০ টাকা দিয়ে দুই পাল্লা পেঁয়াজ কিনেছি। অর্থাৎ ২২ টাকা কেজি পড়েছে। ১৫-২০ দিন আগে পেঁয়াজের কেজি কিনেছিলাম ৪৫ টাকা দরে। এই প্রথম রোজায় পেঁয়াজের দাম কমতে দেখছি। পেঁয়াজের দাম কমায় ভালো লাগছে। কিন্তু অন্যান্য পণ্যের দাম তো অনেক বেশি। অন্যান্য পণ্যের দাম কমলে আরও বেশি স্বস্তি পেতাম। কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে,অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম।
পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে, কিছুদিন আগে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সজনে ডাটার দাম কমে ৮০ টাকায় নেমেছে। সামনে এ সবজির দাম আরও কমবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। কলকাতা বাজারে সবজি ব্যবসায়ী সাদ্দাম বলেন, ১ মাস আগে সজনে ডাটার কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন সজনে ডাটা ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমে ৫০ টাকা হতে পারে।
অন্যদিকে মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে চিংড়ি রুই ও ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে। চিংড়ি কেজি বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৬০০ থেকে হাজার টাকা । রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-৪৫০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে রুই মাছের কেজি ছিল ২০০-৪০০ টাকার মধ্যে।
কিছুদিন আগে ১০০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৬০০ টাকায়। অন্যান্য মাছের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাছের দামের বিষয়ে রায় সাহেব বাজারে ব্যবসায়ী বলেন, রোজায় ইলিশ ও রুই ও চিংড়ি মাছের চাহিদা বেড়েছে। এই কারণে হয়তো এ তিনটি মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০-১৬৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩১০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩১০-৩৪০ টাকা।
গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে মহল্লার গলির কিছু ব্যবসায়ী গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসের দামে পরিবর্তন আসেনি।