সোহেল রহমান : প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। শী পাওয়ার প্রকল্প : প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়) শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের ৮টি বিভাগের ৪৪টি জেলার ১৩০টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।
প্রকল্পের আওতায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- (ক) ২৬ হাজার ৩২৫ জন নারীকে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ প্রদান; (খ) ২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে যন্ত্রপাতি অনুদান (কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়ের জন্য আর্থিক অনুদান) প্রদান; (গ) ২৯ হাজার ৪৮৪টি শিক্ষা ও শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুতি; (ঘ) কম্পিউটার সামগ্রী ও আসবাবপত্র ক্রয়; (ঙ) ৮৬টি টেলিযোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্রয়; (চ) ৪টি কম্পিউটার সফটওয়্যার ও ডাটাবেজ তৈরি এবং (ছ) ১৩২ জনমাস ব্যক্তি পরামর্শক ক্রয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দারিদ্র্য দূরীকরণে আইসিটি সুযোগসমূহকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নয়নমূলক ও প্রাতিষ্ঠানিক পদেক্ষপ গ্রহণ করে বৈষম্যমূলক বাধা হ্রাসকরণ এবং পুরুষের তুলনায় আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ও ব্যবহারের সংখ্যা-স্বল্পতা হ্রাস করে লিঙ্গসমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলা হয়েছে, যার সাথে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ। তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।